বরগুনায় মাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় ৮ শ্রেণীর ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত
মোঃ মেহেদী হাসান –
বরগুনা সরকারি হাসপাতালে আহত মা এবং মেয়ের কান্নার আহাজারি। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে আপনাদের? হাসপাতালের বেডে মুমূর্ষ অবস্থায় মেয়ের পাশে বসে থাকা মা জানালে, কি হবে বলে আমরা কি সঠিক বিচার পাব? একপর্যায়ে কেঁদে কেঁদে বলল, প্রতিদিন সকালে এবং রাতে আমার বাড়িতে ঢিল ছুড়ে মারতো বাবুল খন্দকার এর ছেলে রাব্বি। আমি এর প্রতিবাদ করি বলি,তুমি বারবার এরকম ঢিল মারলে আমরা ভয় পাই। প্রতিউত্তরে আমাকে খারাপ কথা সহ ওর বাবা বাবুল খন্দকার আমার দিকে তেড়ে এসে লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর শুরু করেন।
আমার মেয়ে হাবিবা সামনে আসলে ওর শরিরে লাঠি দিয়ে পিটানো শুরু করে। আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে হ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার সহিদুল ইসলাম মিমাংশার আশ্বাস দেয় পরে পরামর্শ দেয় গ্রামের ডাঃ দেখাতে এবং বলে সঠিক বিচারের কথা। কিন্তু সঠিক বিচার তো দুরের কথা, তাকে পরে ফোন দিলে রিসিভ করেননি। আমার মেয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরগুনা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে ডাঃ বলেন বরিশাল নিয়ে যেতে। টাকার অভাবে নিতে পারছি না।
বরগুনা জেলার ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের জাংগালিয়া গ্রামের হাবিব খন্দকারের ৮ম শ্রেনিতে পড়ুয়া মেয়ে হাবিবা (১৩) আক্তার । বাবা কাজের তাগিদে চট্টগ্রাম লেবারি কাজ করেন।
এ ব্যাপারে ৫ নং আয়লা পতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান ফিরোজ খন্দকার কে একাধিক বার ফোন দিলে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগেও হাবিবার মাকে অনেক বার মারধর করছে বাবুল খন্দকার। এবার মারলো তাড় ছোট মেয়ে হাবিবা কে। স্থানীয়দের দ্বাবি হাবিবার পরিবার জেনো সঠিক বিচার পায়।