রাঙ্গামাটিতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ
রাঙ্গামাটিতে ২০১৮ সালে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ( ১১ আগস্ট) বিকালে রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অতিথিদের বরণ করে নেয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় শিশু শিল্পীদের রবীন্দ্র সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর সঙ্গীত একাডেমী ও জুম কালচার সেন্টার সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ ধ্রুব সংস্কৃতি পরিষদ।
বাংলাদেশ ধ্রুব পরিষদের আঞ্চলিক সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও পৌর সভার ওর্য়াড কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ধ্রুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দেবনাথ। আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী রণজিৎ দেওয়ান, বাংলাদেশ ধ্রুব পরিষদের সহ-সভাপতি ঝুলন দত্ত, বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রশিক্ষক সুজিত কুমার দাশ, হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশন সংগঠনের উপদেষ্টা, জুম কালচার সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, বিশিষ্ট তবলা প্রশিক্ষক সচিব চাকমাসহ অন্যান্য প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাঙ্গামাটি বেতারের জনপ্রিয় উপস্থাপক বিজ্ঞান্তর চাকমা ও ধর্মরতœা চাকমা।
এসময় বক্তরা বলেন, সঙ্গীত চর্চার মাধ্যেমে নিজেকে ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ ডিজিটালে পরিনত হওয়াতে এখন প্রায়ই রবীন্দ্র সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতসহ আদিকালের অনেক জনপ্রিয় গানগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। তবে সকলের উচিৎ সঙ্গীত চর্চা করা। সঙ্গীত হচ্ছে সাধনার। গত বছর ২০১৮ সালে নানিয়ারচর সঙ্গীত একাডেমী ও জুম কালচার সেন্টার সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে যে সঙ্গীত, তবলা, কবিতা আবৃতি, চারুকারু, ম্যাগাজিন ও মেধা পরীক্ষার যে আয়োজন করা হয়েছে তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। সকলের সহযোগিতায় ভবিষ্যতে এ সাংস্কৃতিক সংগঠন আরো ভাল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।