ঢাকা মহানগর সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৎপরতা, জায়গা মিলবে না বিতর্কিতদের
আগামী ৩০শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে এবার কমিটিতে জায়গা মিলবে না অনুপ্রবেশকারীর তালিকায় থাকা বিতর্কিত নেতাদের। ডিবিসি নিউজের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
নভেম্বর জুড়ে ধারাবাহিকভাবে চলছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন। এ তালিকায় এবার যোগ হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে বর্ধিত সভা হয়ে গেছে দুই অংশের।
সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কার্যালয়। তবে চার বছরেও মহানগর উত্তরের কোনো কার্যালয় হয়নি। সিনিয়র নেতারা চান, শুদ্ধি অভিযানের মতো ক্ষমতার অপব্যবহারকারীর দল থেকে বিদায় দিতে।
সিনিয়র নেতাদের একজন বলেন, ‘যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের দিয়ে হয়তো কিছুটা অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে। অপর এক নেতা জানান, ‘ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে আবার সুন্দরভাবে ঢেলে সাজানো হবে।‘
চলছে কমিটি না থাকা ওয়ার্ড ও থানাগুলোতে নতুন কমিটি দেবার তোড়জোড়। আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কমিটিগুলি আমরা জমা দিয়েছি। আর যে কমিটিগুলি ছেড়ে দেবার কথা বলা হয়েছে সেগুলি আমরা ছেড়ে দিয়েছি। কোন অনুপ্রবেশকারী কোন দুর্নীতিবাজ কেউ যদি ধরা পড়ে থাকে। যদি প্রমাণিত হয় তবে আমরা সাথে সাথে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
এবার মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতেও নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, রাজনীতিকে অপব্যবহার করে বিত্ত বৈভবের পাহাড় গড়ে তুলবে, এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই এ ধরনের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এবারের কমিটিতে কিছু নতুন মুখকে জায়গা দেবার চিন্তা ভাবনা চলছে বলেও জানান তিনি। ডিবিসি নিউজ