ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা পেলো আরও ২ পরিবার

ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে আরও দুটি পরিবার। এসব পরিবারের বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। সম্প্রতি পরিবারগুলোর দুজন সদস্য মারা যাওয়ায় এ সুবিধা পেয়েছেন তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রাবেয়া খাতুন এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সাহেলা আক্তার।

উল্লেখ্য, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ ডজন ক্রেতাকে এ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে, ২০২৩) বগুড়ার আদমদীঘি প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাবেয়া খাতুনের হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন ওয়ালটনের রিজিওনাল ক্রেডিট মনিটর রাসেল আহম্মেদ এবং ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার সুজন কুমার শাহসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ।

এদিকে, মঙ্গলবার (৯ মে) শ্রীনগরের বাড়ৈখালী বাজার ওয়ালটন প্লাজায় সালেহা আক্তারের হাতে প্লাজার ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাড়ৈখালী বাজার কমিটির সেক্রেটারি আইয়ুব হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমান, ওয়ালটনের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মনোয়ার হোসেন, রিজিওনাল ক্রেডিট মনিটর সাকিব চৌধুরী ও প্লাজা ম্যানেজার রিয়াদ উদ্দিনসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্বামীর মৃত্যুতে রাবেয়া খাতুনকে ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং ওয়ালটনের কর্মকর্তারা


জানা গেছে, এপ্রিলের ১১ তারিখে ওয়ালটনের আদমদীঘি প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি স্মার্ট এলইডি টিভি কিনেছিলেন রাবেয়া খাতুন। টিভি কেনার পরদিনই দুর্ঘটনাজনিত কারণে রাবেয়া খাতুনের স্বামী মো. লিটন মারা যান। ওয়ালটন থেকে কেনা টিভির কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন রাবেয়া। কিন্তু, ওয়ালটন প্লাজা তার কিস্তি মওকুফ করে আর্থিক সহায়তা দিলে সে দুশ্চিন্তা দূর হয় পরিবারটির।

রাবেয়া খাতুন বলেন, কিস্তিতে টিভি কেনার এক দিন পরেই আমার স্বামীর মাথায় গাছের ডাল ভেঙে পড়লে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি ওয়ালটন প্লাজায় জানালে তারা আমাকে কিস্তির টাকা মওকুফ করে দেন। এছাড়া, নগদ আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন। ওয়ালটনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাড়ৈখালী ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি ওয়াশিং মেশিন কেনেন একই এলাকার সাহিদা বেগম। চলতি বছরের ২৫ মার্চ অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি মারা গেলে তার পরিবারের বকেয়া কিস্তিও মওকুফ করে ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তির টাকা সমন্বয় করে তার পরিবারকে মোট ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা পেয়ে খুশি সাহিদা বেগমের মেয়ে সাহেলা আক্তার। পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ তাদের সহায়তা করায় ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। ওয়ালটনের ব্যবসায়িক সাফল্য কামনা করেন সালেহা আক্তার। -রাইজিংবিডি.কম

news