জরিমানা খেলেন হিরো আলম

সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রিন্সিপাল এম. মুখলিছুর রহমানের ছয় লাখ টাকার গাড়ি উপহার নিলেন হিরো আলম। গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে তাকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করে হাইওয়ে পুলিশ। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে তাকে এ জরিমানা ধার্য করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে জানান, শায়েস্তাগঞ্জ থানার সামনের মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু হিরো আলমের টয়োটা ফিল্ডার গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছিল। এ সময় গাড়িটি আটকের পর আড়াই হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে।

সদ্য সম্পন্ন হওয়া বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত গাড়ি উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল এম. মুখলিছুর রহমান। কিন্তু ভোটে হেরে যাওয়ার পর গাড়িটি দিতে গড়িমসি শুরু করেন তিনি। তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এমনকি সেই পুরষ্কারের জন্য মামলার হুমকিও দেন হিরো আলম। শেষমেষ গাড়িটি দিতে রাজি হয়েছেন হবিগঞ্জের এই প্রিন্সিপাল।
এরপরই মঙ্গলবার সকালের দিকে উপহারের ঘোষণা দেওয়া গাড়িটি আনতে রওয়ানা দেন আলম। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজে পৌঁছে উপহারের গাড়িটি গ্রহণ করেন তিনি।

এসময় হিরো আলমের হাতে গাড়ির চাবি এবং সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রিন্সিপাল মুখলিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি ওয়াদা করেছিলাম, নির্বাচনে হিরো আলম জয়ী হন বা না হন, পরের দিন আমার বাড়িতে এলে আমি গাড়িটি তার হাতে তুলে দেব। আমি আমার কথা রেখেছি। তিনি গাড়ির চাবি গ্রহণ করে সিলেটবাসীকে সম্মানিত করেছেন।’

এনবিএস/ওডে/সি

news