হুড়মুড়িয়ে ভাঙছে বাড়িঘর, মৃত বাড়ছে, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত ইকুয়েডরে তুরস্কের মতোই হাহাকার

 ইকুয়েডরের (Ecuador) কম্পন (Earthquake) যেন তুরস্কের স্মৃতি ফেরাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আহত চারশোর বেশি। বাড়িঘর ভাঙছে, ফাটল ধরেছে রাস্তাঘাটে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইকুয়েডরে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। ইকুয়েডরের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে পেরুর উত্তরাংশও। পেরুতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে উপকূলীয় এলাকায়। ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুতেও এর কম্পন অনুভূত হয়। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানেও। রাজধানী কুইটোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুয়েলরমো লাসো জানিয়েছেন, উপকূলবর্তী শহর এল ওরোতে ১২ জনের প্রাণ কেড়েছে ভূমিকম্প। পাশাপাশি আজুয়াতে মারা গিয়েছেন ২ জন। তবে এই দুই জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর এলেও গোটা পেরু জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী,  এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের উদ্ধারের কাজ চলছে।

মাটি সরে যাওয়ায় কুয়েনকা শহরের রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এর কাছাকাছি এল ওরো প্রদেশে একটি টাওয়ার ভেঙে পড়ায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পেরুর সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে পেরুর উত্তর ও মধ্য উপকূল কম তীব্রতা নিয়ে কেঁপে উঠেছে। তুম্বেস শহরে ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস ২০২৩/একে 

news