চীনের শ্যানডংয়ে ৫০ টনের বিশাল স্বর্ণখনি আবিষ্কার

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিটিজিএন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রদেশ খনিজ সম্পদ কর্তৃপক্ষের মতে, খনিটি পূর্ব চীনের শ্যানডং প্রদেশের গ্রামীণ রুশান শহরে অবস্থিত। এ অঞ্চলটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই প্রদেশে ১০ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। শ্যানডংয়ের মাটিতেই লুকিয়ে ছিল চীনের এই গুপ্তধন। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে খনির খোঁজ পেলেন ভূ-তত্ত্ববিদেরা।
শ্যানডংয়ের প্রাদেশিক ব্যুরো অব জিওলজি এ্যান্ড মিনারেল রিসোর্সেস বলেছে, ‘এই স্বর্ণখনিটি রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে। এই স্বর্ণ খুব সহজেই প্রক্রিয়ায় করা যাবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বর্ণখনির নাম শিলাওকোউ খনি।

প্রেনসা ল্যাটিনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্যানডং চীনের অন্যতম প্রধান স্বর্ণখনি অঞ্চল। ২০১৭ সালে এই অঞ্চলেই ৫৫০ টন স্বর্ণের একটি খনি পাওয়া গিয়েছিল, যার মূল্য ছিল ১৫০ বিলিয়ন ইউয়ান বা প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই আবিষ্কারের পর, সরকার স্বর্ণের উৎপাদন প্রতি বছর ৪৫০ থেকে ৫০০ টন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উৎপাদন এবং ব্যবহার উভয় ক্ষেত্রেই চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধাতুর বাজার।

২০২২ সালে কোভিড-১৯ মহামারিতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বর্ণের চাহিদা ১০.৬ শতাংশ কমে যায়। এ সময়ে সময় বিয়ে এবং জন্মদিন পালনও কমে যাওয়াকে দায়ি করেছেন গবেষকরা। চীনা নাগরিকরা ঐতিহ্যগতভাবে উপহার হিসেবে স্বর্ণই ব্যবহার করে থাকে।

এক বিবৃতিতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিলাওকোউ খনিতে অপরিশোধিত অবস্থায় যে স্বর্ণ রয়েছে-তা অত্যন্ত উচ্চ মানের, সহজেই পরিশোধন করে কাজে লাগানো যাবে।

বিশ্বের স্বর্ণ ভান্ডারের অন্তত ৯ শতাংশ কেন্দ্রীভূত দেশটিতে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনজুড়ে খনিজ সোনার পরিমাণ ১ হাজার ৮৬৯ টন। যার অধিকাংশই আছে শ্যানডংয়ে।

সোনার উৎপাদনে চীন এগিয়ে থাকলেও বৃহত্তম স্বর্ণের ভান্ডারে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মোট খনিজ স্বর্ণের পরিমাণ ৮ হাজার ১৩৩ টন।

এনবিএস/ওডে/সি

news