প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। নাতাঞ্জ, ফোর্দো ও ইসফাহানের স্থাপনাগুলোতে এই হামলা চালানো হয়, যদিও ট্রাম্প পূর্বে ইরানকে দু'সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন।
এই হামলাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে - এটি কি কৌশলগত চাপ সৃষ্টির অংশ, নাকি বড় ধরনের সংঘাতের সূচনা? ট্রাম্প তার টুইটারে এই হামলাকে "অত্যন্ত সফল" বলে দাবি করে যোগ করেন, "এখন শান্তির সময়"। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরান এই হামলাকে সহজে মেনে নেবে না।
হামলার পর ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে "একক ঘটনা" বলে বর্ণনা করা হলেও, ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ইরান পূর্বেই সতর্ক করেছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক সক্ষমতা বিবেচনায় নিলে, এই সংঘাত দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে।
ট্রাম্পের জন্য এটি একটি সূক্ষ্ম পরিস্থিতি। একদিকে তিনি তার প্রশাসনে কোনো নতুন যুদ্ধ শুরু না করার রেকর্ড ধরে রাখতে চান, অন্যদিকে ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন। কিন্তু এই হামলা যদি বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে তা ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সব eyes এখন ইরানের দিকে। তাদের প্রতিক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপই নির্ধারণ করবে এটি শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকবে, নাকি বৃহত্তর সংঘাতের সূচনা হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই উত্তেজনা প্রশমনে তৎপর হলেও, পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে ঘোরতর রূপ নিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন।


