ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরাইলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার দাবি করেছে। গাজায় চলমান অভিযান ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতার জবাবে ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করে হাইফা, নেগেভ, আইলাত ও বিরসেবা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানেছে। হুথিরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজার অবরোধ ও আগ্রাসন না থামানো পর্যন্ত হামলা চলবে।
ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরাইলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বড় ধরনের হামলার দাবি করেছে। তারা বলছে, গাজায় ইসরাইলের চলমান অভিযান ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ‘নৃশংসতার’ জবাবে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ বা আইলাত এবং বিরসেবা। তিনি দাবি করেছেন, ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করে এই অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সারি আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গাজায় আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের হামলা চলতে থাকবে। তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩১ জন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষ। আহত হয়েছেন আরও ৫১৩ জন।
অনাহারের কারণে প্রাণহানি বেড়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খাবারের অভাবে আরও পাঁচজন মারা গেছেন, দুই শিশু সহ। এর ফলে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১০৩ জন শিশু।
গত কয়েক মাস ধরে হুথিরা নিয়মিতভাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তবে হাইফা বন্দরের মতো কৌশলগত স্থানে হামলার দাবি এবার অন্যতম বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
