ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

নিষেধাজ্ঞার শিকার দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করে বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৫ মার্চ, ২০২৩, ১০:০৩ পিএম

নিষেধাজ্ঞার শিকার দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করে বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে

নিষেধাজ্ঞার শিকার দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করে বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে


ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: অমেরিকার নিষেধাজ্ঞার শিকার দেশগুলোকে এই অপকৌশল নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এই মন্তব্য করেন। তিনি ইরান ও বেলারুশের মধ্যকার অনেক সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন: পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে যৌথ ফ্রন্ট গঠন করে নিষেধাজ্ঞার কৌশল নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কু সম্প্রতি একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ইরান সফর করতে এসে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।


নিষেধাজ্ঞা হলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের একটি অমানবিক হাতিয়ার। এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তারা বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থণৈতিক চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা চালায়। উদ্দেশ্য হলো স্বাধীনচেতা দেশ ও জাতিগুলোকে পশ্চিমা বিশ্বের চাওয়ার কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করানো। যে দেশকেই তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে কিংবা তাদের নির্দেশনা মেনে চলছে না বলে ভাবে তাদের বিরুদ্ধেই বছরের পর বছর ধরে তারা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের অপকৌশল প্রয়োগ করে কোনঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। এরকম দেশের তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, ইরান, বেলারুশ, সিরিয়া, কিউবাসহ আরও অনেক দেশ।

তবে পরিস্থিতি এখন আর আগের মতো নেই। এখন পশ্চিমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে আসছে। বিশ্ব এখন বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইরান, রাশিয়া এবং চীনের মতো নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক সুসংহত হচ্ছে। পশ্চিমাদের ওপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস পাচ্ছে। এমনকি ডলারের আধিপত্য থেকেও নিজেদের মুক্ত করে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। এই লক্ষ্যে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির গ্রুপ ব্রিকসের মতো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহু জোট গঠনের প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।


বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা
সুতরাং নিষেধাজ্ঞার শিকার দেশগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সবসময় তেমন কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারে নি। এর কারণে হলো বিশ্ব অর্থব্যবস্থায় এখন পরিবর্তন এসেছে। পশ্চিমা একাধিপত্যের প্যারামিটার এখন বহু মেরুকেন্দ্রিকতার দিকে ঝুঁকছে। নিষেধাজ্ঞা কবলিত দেশগুলোও নিজেদের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ইরান তার সুস্পষ্ট প্রমাণ।

ইরানের বিভিন্ন শিল্প, সামরিক ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অগ্রগতির দিকে তাকালে স্পষ্ট দেখা যায় যে, পশ্চিমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ ইরানের শক্তিকে খর্ব করতে ব্যর্থ হয়েছে। ন্যানো টেকনোলজি,মহাকাশ গবেষণা, স্টেম সেল এবং পারমাণবিক আইসোটপের মতো উন্নত প্রযুক্তি ইরান আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ভেতরেই অর্জন করেছে।

মিনস্কও বিশ্বাস করে যে ইরান, বেলারুশ, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সাহায্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। লুকাশেঙ্কু বলেন: আমার ইরান সফরের উদ্দেশ্য হল ইরানের অর্জনগুলি কাছ থেকে দেখা ও সে সম্পর্কে জানা।
খবর পার্সটুডেে/এনবিএস/২০২৩/একে