ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি ঘুরে দাড়ানোর সম্ভবনায়


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ১৬ মার্চ, ২০২৩, ০২:০৩ পিএম

সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি ঘুরে দাড়ানোর সম্ভবনায়

সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি ঘুরে দাড়ানোর সম্ভবনায়

মহামারী করোনা, ঘনঘন লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের দাম ও কাঁচামালের অনিয়ন্ত্রিত বাজারের মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাড়ানোর সম্ভবনায় সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি। বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরা।

তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ। প্রায় প্রতিটি উপজেলায় কমবেশি তাঁত কারখানা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত ৫ লাখ। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানী, কাতান, সিল্ক, বেনারশি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত শাড়ী, লুঙ্গি ও গামছার কদর দেশ জুড়ে। জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার বাজার হয় এ জেলায়। উৎপাদন হয় প্রায় ৭০ কোটি মিটার কাপড়। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। নাম দেয়া হয় তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। কালের পরিক্রমায় এখন আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তাঁত কারখানাগুলোতে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় যন্ত্র চালিত পাওয়ার লুম দিয়ে শাড়ী, লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করা হয়। 

বেলকুচি উপজেলার আব্দুল মজিদ খান, ফারুক হোসেন, চান মিয়া, আশরাফ আলীসহ একাধিক তাঁত মালিক বলেন, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন দুটি ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তাঁত মালিকরা।

বেলকুচি তাঁত বোর্ড সমিতির সভাপতি হাজী বেলাল হোসেন জানান, বর্তমান বাজার ভালো দেখে লাভের আশায় তাঁত মালিকরা ঋণ করেও কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি তাঁত মালিকরা লাভের মুখ দেখবে।

সিরাজগঞ্জ তাঁত বোর্ডের লিয়াজু অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মিথুন কুমার সরকার জানান, তাঁত মালিকদের জন্য খুদ্র ঋণের পাশাপাশি সরকারী সকল সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এবার সকল মন্দা কারিয়ে তাঁত মালিকরা লাভবান হবে।