এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৬ মার্চ, ২০২৩, ১১:০৩ এএম
সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর ইরানপন্থী প্রুপগুলোর ড্রোন ও রকেট হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমুলক হামলায় গ্রুপগুলোর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯।
ইরানপন্থী মিলিশিয়ারা শুক্রবার রাতে আরো রকেট নিক্ষেপের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট তাদের অবস্থানে বিমান হামলা চালায়। সিরিয়ার অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, তারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না।
পেন্টাগণ জানায়, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকেহর ঘাঁটিতে বৃহস্পতিবার গ্রুপগুলোর ড্রোন হামলায় একজন মার্কিন কন্ট্রাক্টর নিহত ও অপর একজন আহত এবং ৫ জন সেনা আহত হয়। এরপর বিমান হামলা চালানো হয় গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরামর্শে পূর্ব সিরিয়ার ইরানে বিপ্লবি রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট অবস্থানে বিমান’ হামলা চালানোর নির্দেশ দেন তিনি।
গত শনিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অবজার্ভেটরি জানায়, প্রথম দফা মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয় ১৯ জন যার মধ্যে ১৬ জন ইরানপন্থী মিলিশিয়া এবং অপর ৩ জন সিরিয়া সরকারের সৈন্য। নিহতদের মধ্যে ১১ জন সিরীয় নাগরিক।
বিমান হামলার পর সিরিয়ার উত্তর-পূর্বে গ্রীন ভিলেজে অবস্থিত মার্কিন ও তার নেতৃত্বাধীন জোটের অবস্থানে ১০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয় বলে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়। এতে ঘঁটিতে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে একটি রকেট নিক্ষেপে ২ মহিলা ও ২ শিশু আহত হয়।
ইরান সমর্থিত গ্রুপগুলো শুক্রবার কনকো গ্যাস ক্ষেত্রেও রকেট হামলা চালায়। এরপরই বিমান হামলা চালানো হয়। গ্রুপগুলো পরে আল-ওমর তেলক্ষেত্রের মার্কিন ঘাঁটি ও দেইর আজ্জোরের গ্রামাঞ্চলের সেনা অবস্থানে হামলা চালায়। এতে সেখানে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইরানী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে সিরিয়ায়। বিশেষ করে ইরাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় তাদের উপস্থিতি অনেক বেশি বলে জানা খবরে বলা হয়েছে। তেল ও গ্যাস সম্পদ সম্মৃদ্ধ সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
এনবিএস/ওডে/সি