ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

মিয়ানমারে সুচির এনএলডি দল অবলুপ্ত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ মার্চ, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

মিয়ানমারে সুচির এনএলডি দল অবলুপ্ত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা

 মিয়ানমারে সুচির এনএলডি দল অবলুপ্ত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা

 মিয়ানমারের সাবেক ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) নিষিদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,জাপান ও অস্ট্রেলিয়া নিন্দা জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপে দেশটিতে আরও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে তারা ধারণা করছেন।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে এনএলডিকে এভাবে বাদ দিলে পরিস্থিতির উন্নতি করা আরও কঠিন হবে। জাপান সরকার সুচি সহ এনএলডি কর্মকর্তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, বার্মার সকল সংশ্লিষ্ঠ দলগুলোর অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে না। মিয়ানমারের ৪০টি রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে বাতিল করার সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এনএলডি এবং অন্যান্য দলগুলোর বিলুপ্তিকে মিয়ানমারের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার উপর আক্রমণ বলে বিবেচনা করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা সামরিকবাহিনীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করা এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই এবং বিরোধীদের দমনের জন্য তাদের ক্রমবর্ধমান নৃশংস কৌশল ব্যবহারের নিন্দা জানাই।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগ বলেছে, কঠোর নির্বাচনি নিবন্ধনের কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাজনৈতিক অবস্থার যে সংকীর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করেছে সেটি নিঃসন্দেহে নিন্দাজনক। আমাদের মতে, মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সকল দলকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া উচিত। তা না হলে এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতার দিকে চলে যেতে পারে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা সরকারের কর্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থির অবস্থা শুরু হয়েছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো অভিযানে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যেটি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধের কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এনবিএস/ওডে/সি