ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

তাজমহল নির্মাণে শাহজাহান কি টেন্ডার ডেকে বরাত দিয়েছিলেন?’


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৪ জুলাই, ২০২২, ০২:০৭ পিএম

তাজমহল নির্মাণে শাহজাহান কি টেন্ডার ডেকে বরাত দিয়েছিলেন?’

তাজমহল নির্মাণে শাহজাহান কি টেন্ডার ডেকে বরাত দিয়েছিলেন?’

 সম্রাট শাহজাহান তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণের সময় কি টেন্ডার ডেকে কাজের বরাত দিয়েছিলেন? তখন কি দেশের শাসন ব্যবস্থায় টেন্ডার বা বা ওই জাতীয় কোনও ব্যবস্থা অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক ছিল?

এসব প্রশ্ন উঠেছে গোয়ার বিধানসভায়। সেখানে এমন দাবিও করা হয়েছে, আজ এত বছর পরও তাজমহল যে সেই চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য বহন করছে তার কারণ, ওই সৌধ নির্মাণে কোনও নিয়মের বেড়াজাল ছিল না।

গোয়ার বিজেপি সরকার রাজধানী পানাজির ঐতিহ্যশালী কলা অ্যাকাডেমি সংস্কারের সিদ্বান্ত নিয়েছে। রাজ্যের শিল্প কলা প্রসার দফতর ওই কাজের বরাত দিয়েছে টেকটন বিল্ডকন নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে।

গোয়া সরকার এই আকাদেমি স্থাপন করে ১৯৭০ সালে। আকাদেমির কাজ হল, সংস্কৃতির নানা অঙ্গনের প্রসার। সেখানে নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। কলা অ্যাকাডেমি চত্বর অনেকটা কলকাতার নন্দন, রবীন্দ্র সদন চত্বরের মতো।


গোয়া বিধানসভায় রাজ্যের গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির বিধায়ক বিজয় শরদেশাই বুধবার প্রশ্ন করেন, কেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত দফতরকে পাশ কাটিয়ে বিনা টেন্ডারে একটি বেসরকারি কোম্পানিকে সস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হল?

জবাবে গোয়ার শিল্প কলা প্রসার দফতরের মন্ত্রী গোবিন্দ গৌড়া বলেন, তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণের সময় সম্রাট শাজাহান কি টেন্ডার ডেকেছিলেন? ডাকেননি। তিনি জনে জনে জানতে চাননি কে কত টাকায় কীভাবে কাজটা করবে।


এখানেই না থেমে গৌড়া আরও বলেন, তাজমহল (Taj Mahal) যে আজও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তার কারণ সেটি নির্মাণে টেন্ডার ডাকার পরিবর্তে যোগ্য লোকেদের বেছে নেওয়া হয়েছিল।

শরদেশাইয়ের অভিযোগ, কলা অ্যাকাডেমি সংস্কারে ৪৯ কোটি টাকা সরকার খরচ করছে। অথচ বরাত দেওয়াতে পূর্ত দফতরের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয়নি।

মন্ত্রী তাঁকে ফের বলেন, আপনি নিশ্চয়ই তাজমহল (Taj Mahal) দেখেছেন। ওটার ১৬৩২ সালে নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ১৬৫৩ সালে নির্মাণ শেষ হয়। এখনও কী সুন্দর। তার রহস্য সম্রাট শাজাহান ওটা নির্মাণে টেন্ডার ডাকাডাকিতে যাননি। যোগ্য লোকেদের নিয়োগ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, তাজমহল নির্মানের জন্য রাজমিস্ত্রি, চিত্রশিল্পী, গম্বুজ নির্মাণকারী, পাথরকাটার কারিগর অন্যান্যদের আনা হয়েছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে। এছাড়া শিল্পী, কারিগরদের বড় অংশ ছিলেন মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। সেটি ইন্দো ইসলামিক স্থাপত্যগুলির অন্যতম।।দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে