এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০২২, ০২:০৭ পিএম
ঋষি ছাড়া যে কেউ!’ প্রধামনন্ত্রী নির্বাচনে মিত্রদের কাছে বিস্ফোরক আর্জি বরিসের
গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK PM) কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন (boris Johnson)। তারপরেই থেকেই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। বরিসেরই মন্ত্রিসভার প্রাক্তন এই সদস্যকেই তাঁর গদি হারানোর পিছনে মূল চক্রী বলে মনে করছেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কারণেই নাকি প্রধানমন্ত্রী বাছার লড়াইতে মিত্রদের কাছে তিনি আবদার রেখেছেন, ‘ঋষি ছাড়া যে কেউ’ (Anyone but Rishi) হলেই তাঁকে সমর্থন দিতে।
উল্টো করে ধরলে যা দাঁড়ায়, তাঁর অর্থ হল, কোনওভাবেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর কুর্শিতে ঋষিকে মেনে নিতে নারাজ বরিস জনসন। যদিও তিনি আগে জানিয়েছিলেন, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কোনও সদস্যকে তিনি সমর্থন করবেন না, বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপও করবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না তিনি। সেখানকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পার্লামেন্টের টোরি প্রার্থীদের কাছে বরিস আর্জি রেখেছেন, প্রথম রাউন্ডে যাঁরা ইতিমধ্যেই সুনকের কাছে হেরে গেছেন, তাঁরা যেন কনজারভেটিভ দলের প্রাক্তন চ্যান্সেলরকে আর সমর্থন না দেন।
আসলে ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে যাওয়ার পিছনে ঋষিকেই দায়ী করেন ব্রিটেনের বর্তমান তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী। নিজেরই দলের এককালের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের তাঁর দিকে আঙুল তোলাকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করেছেন বরিস, এমনটাই মত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের। শোনা যাচ্ছে, বরিস ও তাঁর মিত্ররা দলেরই ভিতরে গোপনে ‘ঋষি ছাড়া যে কেউ’ ক্যাম্পেন শুরু করেছেন।
এরকম কোনও ক্যাম্পেনের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বরিসের এক মিত্র। যদিও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী যে সুনকের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’য় বিরক্ত এবং মর্মাহত, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের টোরি সদস্যদের ভোটে প্রথম দু’ রাউন্ডে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছেন সুনক। তাঁর জয়ের ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত সুনকের সমর্থনকারীরা। এই কনজারভেটিভ বনাম কনজারভেটিভ লড়াইয়ের বাইরে বেরিয়ে ঋষি দারুণ কাজ করবেন বলেই আশাবাদী তাঁরা।খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে