ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

ইউক্রেনে ন্যাটোকে আটকে দেয়ার কোনো বিকল্প ছিল না: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ জুলাই, ২০২২, ০২:০৭ পিএম

ইউক্রেনে ন্যাটোকে আটকে দেয়ার কোনো বিকল্প ছিল না: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ইউক্রেনে ন্যাটোকে আটকে দেয়ার কোনো বিকল্প ছিল না: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই জোট নিজের জন্য কোনো সীমারেখা মানে না এবং তাকে ইউক্রেনে আটকে দিয়ে উচিত কাজ করা হয়েছে; এটি করা না হলে ন্যাটো ক্রিমিয়াকে উপজীব্য করে যুদ্ধ শুরু করে দিত।

ইরান সফরে এসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতরাতে (মঙ্গলবার রাতে) আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, যুদ্ধ একটি রূঢ় ও কঠিন বাস্তবতা এবং যুদ্ধ সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনুক সেটা কখনও কাম্য নয়। পুতিনকে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “যদিও ইউক্রেনের ক্ষেত্রে আপনি যদি আগে পদক্ষেপ না নিতেন তাহলে প্রতিপক্ষই যুদ্ধ শুরু করে দিত।”

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো নিঃসন্দেহে একটি শক্তিশালী ও স্বাধীনচেতা রাশিয়াকে দেখতে চায় না। তিনি বলেন, আমেরিকা ও পাশ্চাত্য আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং তারা বিপুল অর্থ খরচ করেও সিরিয়া, ইরাক, লেবানন ও ফিলিস্তিনে তেমন কিছুই করতে পারছে না।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পশ্চিমাদের ধোঁকাবাজির মোকাবিলায় ইরান ও রাশিয়াকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি তেহরান ও মস্কোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে দু’দেশের জন্য লাভজনক আখ্যায়িত করে বলেন, দু’টি দেশই যখন পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার শিকার তখন তারা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলার বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বলেন, আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে ক্রমান্বয়ে ডলারকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, কেউ যুদ্ধ চায় না বিশেষ করে যুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রাণহানী একটি শোকাবহ ব্যাপার। তিনি বলেন, কিন্তু পশ্চিমাদের আগ্রাসী আচরণের কারণে আমাদের সামনে প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেন সংঘাতের মূল কারণ দেশটিতে পশ্চিমাদের আগ্রাসী তৎপরতা। বিশেষ করে আমেরিকা কয়েক বছর আগে ইউক্রেনে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে একটি পাশ্চাত্যপন্থি সরকারকে ক্ষমতায় এনে আজকের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে সংঘাতের আরেকটি কারণ হিসেবে পুতিন পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের বিস্তারকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, আমেরিকা ন্যাটোকে রাশিয়ার সীমান্তের দিকে এগিয়ে আনবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও তা লঙ্ঘন করেছে। পুতিন বলেন, কোনো কোনো ইউরোপীয় দেশ বলেছে, তারা ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার বিরোধী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আমেরিকার চাপের মুখে বিষয়টি মেনে নিয়েছে আর এ থেকে প্রমাণিত হয়ে ইউরোপীয়দের কোনো স্বাধীন সত্ত্বা বা সার্বভৌমত্ব নেই।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে