ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

মা পালালেন প্রেমিকের সঙ্গে, নিয়ে গেলেন মেয়ের বিয়ের গয়নাও


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ জুলাই, ২০২২, ০৩:০৭ পিএম

মা পালালেন প্রেমিকের সঙ্গে, নিয়ে গেলেন মেয়ের বিয়ের গয়নাও

মা পালালেন প্রেমিকের সঙ্গে, নিয়ে গেলেন মেয়ের বিয়ের গয়নাও

 স্বামীর ঘরে আর মন টিকছিল না। প্রেমিকের সঙ্গে আবার নতুন সংসার পাতার স্বপ্নে বিভোর থাকতেন সবসময়। অবশেষে মঙ্গলবার সেই প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলেন তমলুকের সাউতানচকের (East Midnapore) বাসিন্দা দুই সন্তানের মা। বড়জন ছেলে, সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। অন্যজন মেয়ে, ক্লাস এইটের ছাত্রী। সেই মেয়ের বিয়ের জন্য বানিয়ে রাখা গয়নাও নিয়ে গিয়েছেন তিনি। টাকাভর্তি জোড়া লক্ষ্মীর ভাঁড়, আর সঙ্গে নগদ ও গয়না। সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা বগলদাবা করেই স্বামীর ঘর ছেড়েছেন ওই মহিলা।

জানা গেছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল এই পরিবার। সেই টাকাও ছিল মহিলার কাছেই। এখন গোষ্ঠীর লোক এসে তাঁর স্বামীকে তাগাদা দিচ্ছেন। তাই শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে খুঁজে পেতে তমলুক থানার (East Midnapore) দ্বারস্থ হয়েছেন অসহায় সেই যুবক। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই বধূ কিংবা তাঁর প্রেমিকের কোনও হদিশ পায়নি পুলিশ। শুধু জানা গিয়েছে, ময়নার এক যুবকের সঙ্গে তিনি পালিয়েছেন। ওই যুবকও বিবাহিত। তাঁরও ভরা সংসার রয়েছে। তমলুক থানার আইসি অরূপ সরকার জানিয়েছেন, দুজনের খোঁজেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

‌নিউটাউনের বাস ধরতে গিয়ে হাওড়ার পড়ুয়া পৌঁছল অন্ধ্রপ্রদেশে!‌ ছেলের মুখ চেয়ে পরিবার

জানা গেছে, দেড় বছর আগে তমলুক-শ্রীরামপুর রোডে (East Midnapore) সাউতানচকে একটি হোটেল তৈরি করেন ওই বধূর স্বামী। ব্যবসা চালাতেন দু’জনেই। হোটেল সামলানোর পাশাপাশি কাঠের কাজে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন স্বামী। সেইসময়য়ে একা হাতেই হোটেল সামলাতেন ওই মহিলা। এদিকে, ওই হোটেলেই খেতে আসতেন ময়না থানার খেজুরতলা এলাকার এক যুবক। সেখান থেকেই দু’জনের আলাপ-পরিচয়। অল্প কয়েকদিনে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্কও।

স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী সম্পর্কের গোড়ার দিকে সারাক্ষণ ফোনে ব্যস্ত থাকতেন। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তিও হতো। এরমধ্যেই কিছুদিন আগে ফোন খারাপ হয়ে যায়। যার ফলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় দু’জনের। এর ঠিক চার দিনের মাথায় ওই যুবকের সঙ্গে ওই মহিলা চম্পট দেন।

মঙ্গলবার ওই মহিলার ভাসুর বলছিলেন, ‘ভাইয়ের স্ত্রীর স্বভাবচরিত্র মোটেও ভালো নয়। এর আগেও অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমার ভাই সেসব মেনে নিয়েও সংসার করছিল। কিন্তু, এত বড় বড় দুটো সন্তান থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী চলে যাওয়ায় ভাই ভীষণই ভেঙে পড়েছে।।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে