এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

আগামী ১৮ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার (৪ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই গুরুত্বপূর্ণ খবরটি জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে নতুন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ট্রাম্প যখন সৌদি আরবকে 'আব্রাহাম চুক্তিতে' অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আব্রাহাম চুক্তি: কেন সৌদি নীরব?
২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য 'আব্রাহাম চুক্তি' স্বাক্ষর করে।
তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সৌদি আরব এতদিন এই উদ্যোগে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে এসেছে।
গত রোববার সিবিএস-এর এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে সৌদি আরব শেষ পর্যন্ত আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবেই।
১৪২ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি?
এই সফরে ট্রাম্প এবং ক্রাউন প্রিন্সের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ফাইনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে এমন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, "ক্রাউন প্রিন্স এলে কিছু চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।"
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা নিশ্চয়তা এবং উন্নত সামরিক সরঞ্জাম সহজে পাওয়ার সুযোগ চেয়ে আসছে।
দেশটি মার্কিন অস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা। বহু দশক ধরে তেল সরবরাহ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় আছে।
চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির একটি বড় প্যাকেজে সম্মত হয়েছিল।