ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Logo
logo

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! মার্কিন ভোটারদের ভরাডুবি করে ডেমোক্র্যাটদের কীভাবে জয় করলেন?


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ পিএম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! মার্কিন ভোটারদের ভরাডুবি করে ডেমোক্র্যাটদের কীভাবে জয় করলেন?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা! যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা ঝড় তুলে জয়ী হয়েছেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকান ভোটারদের অসন্তোষের একটি স্পষ্ট সংকেত বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে পূর্ব উপকূলের ভোটাররা রিপাবলিকানদের পরিবর্তে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদেরই বেশি ভোট দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর প্রায় এক বছর পর এই ফলাফল তার নীতির বিরুদ্ধে জনমতের একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত।

কোথায় কী ফলাফল?

এখানে মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার গভর্নর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।

আরেক মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট মিকি শেরিল তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করেছেন।

নিউ ইয়র্ক: সবচেয়ে আলোচিত ফলাফল এখানেই! গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক জোহরান মামদানি প্রথমে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে এবং পরে সাধারণ নির্বাচনে ট্রাম্প-সমর্থিত সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে দুবার পরাজিত করেছেন।

সব প্রার্থীর প্রচারণায় ছিল একটি কমন বিষয়

যদিও এই জয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু তাদের প্রচারণায় একটি জিনিস ছিল কমন – সবাই ট্রাম্পের নীতি ও কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তারা তাদের প্রচারণায় সাধারণ মানুষের সাশ্রয়ী মূল্যের সমস্যার ওপর বেশি ফোকাস করেছিলেন।

নেতাদের প্রতিক্রিয়া

প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ মামদানির জয়কে "পুরো দেশের জন্য একটি বার্তা" বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, "আমেরিকানরা এই প্রশাসন থেকে যা দেখছে, তাতে তারা হতবাক।"

অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা এই পরাজয়কে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, "নীল রাজ্য ও শহরগুলোতে নীল দলের জয় হওয়াটা স্বাভাবিক।" তিনি মামদানির জয়কে "আমেরিকান জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি" বলে মন্তব্য করেছেন।

ডেমোক্র্যাটদের জন্য আশার সংকেত

ক্যালিফোর্নিয়া এবং পেনসিলভানিয়াতেও ডেমোক্র্যাটরা গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছেন। এই জয়গুলো ২০২৪ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটদের মনোবল বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।

মোট কথা, ট্রাম্পের আমেরিকায় ডেমোক্র্যাটদের এই জয় প্রমাণ করছে যে, আগামী দিনের রাজনীতির লড়াই আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে চলেছে।