ঢাকা, বুধবার, নভেম্বর ১২, ২০২৫ | ২৮ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

ইসলামাবাদ আদালতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা, দায় স্বীকার তালেবানের—চরম সতর্কতায় পাকিস্তান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

ইসলামাবাদ আদালতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা, দায় স্বীকার তালেবানের—চরম সতর্কতায় পাকিস্তান

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পুরো এলাকা।
একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান টিটিপি, যা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বহুদিন ধরেই এক বড় মাথাব্যথার কারণ।

“আমাদের যোদ্ধারা ইসলামাবাদ আদালতে হামলা চালিয়েছে। যারা ইসলামী শরিয়াহবিরোধী রায় দেন—সেসব আইনজীবী, বিচারক এবং কর্মকর্তা আমাদের টার্গেট ছিল।”

বিস্ফোরণের পর মুহূর্তেই ইসলামাবাদসহ বড় শহরগুলোতে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
ঘটনাস্থলের দৃশ্য ছিল বিভীষিকাময়—পুড়ে যাওয়া গাড়ি, ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ, আহতদের আর্তচিৎকারে কেঁপে উঠেছিল পুরো আদালত এলাকা।

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বহু বছর ধরে দেশটির জন্য এক মারণ ব্যাধির মতো।
খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তানসহ পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত অঞ্চল এই সংগঠনের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
সেখান থেকেই প্রায়ই পাক সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়।

এমনকি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর –এর নিরাপত্তাও তাদের হামলায় বারবার হুমকির মুখে পড়েছে।
চীনা প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের ওপরও তারা একাধিকবার আক্রমণ চালিয়েছে।
এই অব্যাহত সহিংসতায় পাকিস্তানের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিবেশ ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামাবাদ জেলা আদালতের পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে।
এর পরপরই আগুনে পুড়ে যায় পাশের আরও কয়েকটি গাড়ি।
ঘটনার সময় সেখানে ভিড় ছিল বিপুল—অনেক আইনজীবী, মামলাকারী ও পথচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে আশপাশের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে।
আতঙ্কে মানুষ দিকবিদিক ছুটতে থাকে, পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাটি ছিল “ফিদায়েঁ” বা আত্মঘাতী ধরনের, এবং তদন্তে ফরেনসিক দল ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যে বা যারা দেশের আইনব্যবস্থা ভেঙে দিতে চায়, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।”