এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

ভারতের প্রাক্তন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে সাধারণত মুখ খোলেন না। তবে এবার ইউটিউব শো ‘সার্ভিং ইট আপ উইথ সানিয়া’–তে প্রথমবার তিনি প্রকাশ্যে বললেন, ডিভোর্সের পর তার জীবন কতটা কষ্টদায়ক ছিল। এমনকি প্যানিক অ্যাটাকের শিকারও হতে হয়েছিল তাকে।
২০১০ সালে পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিয়ে হয় সানিয়ার। ৮ বছর পর জন্ম নেয় তাদের পুত্র ইজহান। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সানিয়ার ও শোয়েবের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে একাই বড় করছেন ইজহানকে।
সানিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারহা বলেন, “সিঙ্গেল মাদার হওয়া খুবই কঠিন। সমস্ত দায়িত্ব এক হাতে সামলাতে হয়।”
সানিয়া শেয়ার করেন, “এটা জীবনের সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। মাঝে মাঝে খুব অবসন্ন লাগত। কিছু বিষয় ক্যামেরার সামনে বলতেও পারতাম না। মনে আছে, তোমার শোতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টুডিওয় পৌঁছনোর মতো অবস্থাতেই ছিলাম না। থরথর কাঁপছিলাম।
তুমি যদি আমাকে আনতে না আসতে, আমি লাইভ শোয়ে যেতে পারতাম না। তখন তুমি বলেছিলে, ‘যাই হোক না কেন, তুমি শো করবেই’। এই কথাটাই আমাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করেছিল।”
ফারহা আরও বলেন, “আমি রীতিমতো ভয় পেয়েছিলাম। আগে কখনও তাকে প্যানিক অ্যাটাকের অবস্থায় দেখিনি। শুট চলছিল, কিন্তু সব কিছু ফেলে তার কাছে ছুটে গিয়েছিলাম। সানিয়া যেভাবে বিষয়টা সামলেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কাজ এবং সন্তান দু’টোই একসাথে সামলানো তার জন্য ডবল এফর্ট।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হয়ে যায় সানিয়া ও শোয়েবের। এরপর শোয়েব নতুন করে সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ে করেছেন।
অন্যদিকে, পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর সানিয়া বছরের অনেকটা সময় মরুশহরে কাটান, যেখানে তার নিজস্ব টেনিস অ্যাকাডেমি রয়েছে। এছাড়া তিনি দুবাই স্পোর্টসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসাবেও যুক্ত আছেন।