এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৮ পিএম
দীর্ঘ আইনি যুদ্ধে জয়, পাকিস্তানে ‘দখলমুক্ত’ ১২০০ বছরের পুরনো হিন্দু মন্দির
বেআইনি ভাবে বারোশো বছর পুরনো হিন্দু মন্দিরের দখল নিয়েছিল একটি খ্রিস্টান পরিবার। দীর্ঘ আইনি যুদ্ধের পর ওই মন্দিরটিকে পুনরুদ্ধারে করতে সক্ষম হল পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপাসনাগৃহগুলির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (Evacuee Trust Property Board)। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের (Pakistan) আদালত নির্দেশ দিয়েছে লাহোর (Lahore) শহরের ওই মন্দিরটিকে এবার থেকে দেখভাল করবে ট্রাস্ট।
লাহোরের বিখ্যাত আয়নাবাজার এলাকায় রয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন হিন্দু মন্দির বাল্মিকী মন্দির (Valmiki Temple)। আদালতের নির্দেশে গত মাসে মন্দিরটিকে স্থানীয় খ্রিস্টান পরিবারের থেকে পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড। উল্লেখ্য, লাহোরে বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দিরের পাশাপাশি বাল্মিকী মন্দিরটিতেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের বেশি যাতায়াত। যদিও গত দুই দশক ধরে সর্বসাধারণ এই মন্দিরে পুজো দিতে পারছিল না।
বছর কুড়ি আগে বাল্মিকী মন্দিরের দখল নেয় স্থানীয় একটি খ্রিস্টান পরিবার। নিজেদের ধর্মান্তরিত হিন্দু বলে দাবি করে তাঁরা। ওই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে কেবলমাত্র ‘বাল্মিকী’ বর্ণের হিন্দুদেরই ওই মন্দিরে প্রবেশের তথা পুজো দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল। স্বভাবতই যা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল শহরের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এর বিরুদ্ধে মামলা করে ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড। মাস খানেক আগে যার রায় বের হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, এই মন্দির এবার থেকে দেখভাল করবে ট্রাস্টের সদস্যরা। কারা মন্দিরে পুজো দেবে কি-দেবে না, সেই বিষয়ে নাক গলাতে পারবে না খ্রিস্টান পরিবারটি।
ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ডের মুখপাত্র আমির হাসমি বলেন, মন্দির পুনরুদ্ধার হয়েছে। আগামী দিনে প্রাচীন মন্দিরটিকে ভগ্ন অংশ সারিয়ে তোলার ইচ্ছে রয়েছে, সুষ্ঠুভাবে মন্দির পরিচালনা নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাস্টের। এদিকে পুনরুদ্ধারের পর গতকাল বাল্মিকী মন্দিরে জমায়েত করেন শ-খানেক হিন্দু সম্পদ্রায়ের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন বেশকিছু শিখ ও ক্রিস্টান ধর্মগুরু। এদিন হিন্দুরা পুজো দেন মন্দিরে। লঙ্গরের ব্যবস্থা হয় সকলের খাওয়া-দাওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে উত্তেজনার সময় লাহোরের এই বাল্মিকী মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে