ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

ইরান উদ্ধত সাত মাথার ড্রাগনকে ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:০৯ পিএম

ইরান উদ্ধত সাত মাথার ড্রাগনকে ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে

ইরান উদ্ধত সাত মাথার ড্রাগনকে ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সাত মাথার ড্রাগনের উদ্ধত মাথা মাটিতে নুইয়ে দিয়েছে ইরান। বিশ্ব আহলে বাইত সংস্থার সপ্তম কংগ্রেসে আমন্ত্রিত সদস্য ও অতিথিদের সমাবেশে হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ এ কথা বলেন। তিনি বলেন আহলে বাইতের প্রেরণায় ইরান বলদর্পী ওই সাত মাথাকে পিছু হটিয়ে দিতে এবং উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।

সর্বোচ্চ নেতার দফতরের বার্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে ওই সমাবেশে তিনি বিশ্বব্যাপী আহলে বাইতের সম্মান ও জনপ্রিয়তাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন বিশ্ব আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আহলে বাইতের পতাকা উত্তেলনকারী দেশ হিসেবে ইরান মনে করে মুসলিম বিশ্বে প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম ধর্মীয়, জাতিগত, সাম্প্রদায়িক কিংবা বর্ণগত বিভেদ রেখা নেই। মুসলিম বিশ্বের মাঝে বিভেদ রেখা টানার চেষ্টা করছে বিশ্ব কুফরি ও বলদর্পী শক্তি। ইসলামি ইরান শত্রুদের বিচিত্র আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে একটি বাস্তব রোল মডেল। ইরান পেরেছে একটি নবীন কিশলয়কে প্রাচীন বৃক্ষে পরিণত করতে। এই রোল মডেলের পেছনে কেবল রাজনৈতিক পন্থাই নয় বরং ইমাম খোমেনী (রহ.) এর নীতি আদর্শের অনুসরণও ভূমিকা রেখেছে।

অপরাপর দেশ ও জাতিকেও বলদর্পী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করার কারণে ইরান আধিপত্যবাদীদের শত্রুতা ও গা-জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান বিভিন্ন দেশে দায়েশের মতো সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপকামিতাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। সেজন্য তারা এখন ইরানভীতি, শিয়াভীতির মতো অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি আমেরিকা এখন ইরানের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করারও অভিযোগ তুলছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন: অন্য কোনো দেশে ইরান হস্তক্ষেপ করে না। ইসলামি সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অগ্রগতি রোধ করতে না পেরেই তারা এইসব অভিযোগ তুলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: সবার উচিত বলদর্পী শক্তিগুলোর নীতির বিরুদ্ধে সচেতনভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং কোনোভাবেই তাদের সহযোগিতা না করা।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: মুসলিম বিশ্বের মাঝেঝ অবাস্তব বিভেদরেখা আঁকাই বলদর্পী শক্তিগুলোর বর্তমান নীতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে শিয়া-সুন্নি বিরোধ, আরব-আজম বিরোধ, শিয়াদের সাথে শিয়াদের বিরোধ কিংবা সুন্নিদের সঙ্গে সুন্নিদের বিরোধ লক্ষ্য করা যায় সবই বৃহৎ শয়তান আমেরিকার কাজ। ওই শয়তানের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী।

মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন: শিয়া মুসলমানরা ওই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচনায় ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে