ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হঠকারীতা: মোস্তফা ভুইয়া


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৭ আগস্ট, ২০২২, ০৩:২১ পিএম

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হঠকারীতা: মোস্তফা ভুইয়া

বিইআরসিকে এড়িয়ে চোরাগোপ্তা কায়দায় আইএমএফ কে খুশি করতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হঠকারীতা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হঠাৎ এভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন। জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই

রবিবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে গেছে পরিবহন ব্যয়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রপ্তানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি চরম ভোগান্তিতে থাকা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। এই সিদ্ধান্ত দ্রব্য মূল্যের লাগামহীনে ঊধ্বগতিতে নাকাল দেশের মানুষের উপর নতুন করে অকল্পনীয় গজব চাপিয়ে দেবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় চরম স্বেচ্ছাচারীভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন যাবত ধরে দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে তা বন্ধ না করে মুল্যবৃদ্ধি জনগনের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। জ্বালানি খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এই মুল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ, অসৎ ব্যক্তির লোভের কারণে অর্থনীতির যে দশা হতে চলেছে, তাতে জনগণের ধৈর্য বজায় রাখা কঠিন। এরপরও গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

তিনি আরো বলেন, ডিজেল, কেরোসিন পেট্রল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তের মারাত্মক অভিঘাত পড়বে প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে। এর ফলে শিল্প, কৃষি পরিবহনসহ অর্থনীতির প্রতিটি খাত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। নতুন করে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৯৪ ডলারে নেমে আসা ও খাদ্য শষ্যের দাম যখন কমতে শুরু করেছে তখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব।