ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

চাকরির টোপ দিয়ে ১৮ জনকে অপহরণ, কলকাতায় পাচারচক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত ৩


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:০৯ পিএম

চাকরির টোপ দিয়ে ১৮ জনকে অপহরণ, কলকাতায় পাচারচক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত ৩

চাকরির টোপ দিয়ে ১৮ জনকে অপহরণ, কলকাতায় পাচারচক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত ৩


 খোদ শহর কলকাতায় আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের (international racket) পর্দাফাঁস। এয়ারপোর্ট পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ১৮ জন ভিনরাজ্যের বাসিন্দাকে উদ্ধার করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ (Bidhannagar Police)। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত আছে এবং ঐ ১৮ জনকে কিডন্যাপ (kidnapped) করে কোথাও পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল কিনা, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৬ সেপ্টেম্বর। ওইদিন হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার বিধাননগর কমিশনারেটের আওতায় থাকা এনএসবিসিআই থানায় আসেন। সেখানে পুলিশকে তিনি জানান, ২৮ অগস্ট থেকে তাঁর ছেলে নিখোঁজ। যদিও সেই ব্যক্তি লিখিত কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে হরিয়ানা ফিরে গিয়েই ইমেল মারফত পুলিশে অভিযোগ জানান নরেশ কুমার। এরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ে তিনজন। ধৃতদের নাম সুরেশ সিনহা, রাকেশপ্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাস। এরপরই রবিবার উদ্ধার হয় সেই ১৮ জন ।

এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসে। জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ১৮ জনের অধিকাংশই হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁদের সবাইকে আমেরিকায় চাকরির নামে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই একদিন নরেশ কুমারের ছেলে রাহুল কুমারের মাধ্যমে তাঁর বাড়িতে একটি ফোন যায়। বলা হয়, ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে ৩৫ লক্ষ টাকা চায় অভিযুক্তরা।

জানা গেছে, ইকোপার্ক থানা এলাকায় ডাক্তার গৌরচন্দ্র বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল ওই ১৮ জন ব্যক্তিকে। সেখান থেকেই নাকি তাঁদের দিয়ে বাড়িতে ফোনও করানো হত। জোর করে অপহৃতদের বলতে বাধ্য করানো হয়েছে, তাঁরা ভাল আছে। সেই ফোন কলেই রাহুলের বাবার সন্দেহ হওয়াতেই গোটা চক্রের পর্দাফাঁস হয়। পুলিশের অনুমান, এই পেছনে একটি বড়সড় দল কাজ করেছে।

খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে