ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

নগদ ১ লক্ষ টাকা, সোনা-রুপো, শাড়ি-ধুতি, মহার্ঘ দিওয়ালি উপহার বিলিয়ে বিতর্কে কর্ণাটকের মন্ত্রী


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:১০ পিএম

নগদ ১ লক্ষ টাকা, সোনা-রুপো, শাড়ি-ধুতি, মহার্ঘ দিওয়ালি উপহার বিলিয়ে বিতর্কে কর্ণাটকের মন্ত্রী


নগদ ১ লক্ষ টাকা, সোনা-রুপো, শাড়ি-ধুতি, মহার্ঘ দিওয়ালি উপহার বিলিয়ে বিতর্কে কর্ণাটকের মন্ত্রী

গতকাল এক মহিলাকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে কর্ণাটকের (Karnataka) এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এবার কর্ণাটকের আরেক মন্ত্রী কয়েক লক্ষ টাকার দিওয়ালি উপহার (Diwali Gift) দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন। দলের নবনির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সদস্য ও পুরসভার এক কাউন্সিলরকে ওই উপহার দিয়েছেন তিনি। মহার্ঘ দিওয়ালি উপহারে ছিল নগদ ১ লক্ষ টাকা, সোনা, রুপো ও শাড়ি, ধুতি ও প্রচুর পরিমাণ খাবার। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ও কাউন্সিলরকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন তিনি, নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে।  

উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে দিওয়ালির উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। পারিবারের সদস্য, আত্মীয় ও বন্ধুদের দিওয়ালিতে পছন্দসই উপহার দেওয়া হয়। উপহারে থেকে ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে পোশাক, সোনা, কেক-বিস্কট ইত্যাদি। পারিবারের বাইরে অফিসের তরফেও কর্মীদের দিওয়ালির উপহার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সেই হিসেবে কর্ণাটকের পর্যটন মন্ত্রী আনন্দ সিং (Anand Singh) অন্যায় কিছু করেননি। তিনিও উৎসবের উপহার দিয়েছেন পরিচিতদের। তবে বিতর্ক কেন?


যেহেতু চোখ ধাঁধাঁনো দামি উপহার দিয়েছেন তিনি। তা দিয়েছেন দলেরই রাজনৈতিক নেতাদের। মহার্ঘ সেই উপহারের তালিকা ও ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। নব নির্বাচিত দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও পুরসভার এক কাউন্সিলরকে কর্ণাটকের পর্যটন মন্ত্রী দিওয়ালির উপহারে দিয়েছেন-নগদ ১ লক্ষ টাকা, ১৪৪ গ্রাম সোনা, ১ কেজি রুপো, একটি সিল্কের শাড়ি, একটি ধুতি এবং প্রচুর পরিমাণ ড্রাই ফ্রুট। এরপরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই উপহারকে উপহার বলতে রাজি নয় অনেকেই, বরং পঞ্চায়েত সদস্য বা কাউন্সিলরকে খুশি করে তাঁদের নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছেন। এমনই অভিযোগ করছেন সকলে। কারও কারও বক্তব্য, রাজ্যের একজন মন্ত্রী কতখানি বিত্তবান তা আন্দাজ হয় তাঁর উপহারের পরিমাণ দেখে।


প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্যের চামরাজ নগর জেলার অন্তর্গত হাঙ্গালা গ্রামে জমির পাট্টা বিলি করছিলেন পরিকাঠামো উন্নয়ন মন্ত্রী ভি সোমান্না। অনুষ্ঠানে তাঁর আসার কথা ছিল দুপুর সাড়ে তিনটেয়। কিন্তু প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি করে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বিলির কাজ শুরু হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত হন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে জমির পাট্টা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সোমান্না। দেখা যায়, তিনি চড় মেরে বসেছেন ওই মহিলাকে। এবং চড় খাওয়ার পর মহিলা তাঁর পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। তবে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীমশাই পরে এমন আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে