ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

গুজরাট নির্বাচনে মাঠে নামছে ওয়াইসির দল, বহু আসনে জয়-পরাজয়ে মুসলিম ফ্যাক্টর


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০২ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:১১ পিএম

গুজরাট নির্বাচনে মাঠে নামছে ওয়াইসির দল, বহু আসনে জয়-পরাজয়ে মুসলিম ফ্যাক্টর

গুজরাট নির্বাচনে মাঠে নামছে ওয়াইসির দল, বহু আসনে জয়-পরাজয়ে মুসলিম ফ্যাক্টর

ভারতের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছে ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল ‘মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন’ (মিম)।

‘মিম’ মূলত দলিত ও মুসলিম ভোটের দিকে নজর দিচ্ছে। ‘মিম’ প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি গত মে মাস থেকে ঘন ঘন বিজেপিশাসিত গুজরাট সফর করছেন এবং তিনি নিশ্চিত যে গুজরাটের মানুষ এবার পরিবর্তন চাচ্ছে। রাজ্যের মোট ১৮২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪০/৪৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে তারা এ পর্যন্ত আহমদাবাদের তিনটি এবং সুরাটের দু’টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। পাঁচজনের মধ্যে চারজনই প্রথমবারের মতো প্রতিযোগী।   

গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ‘মিম’ তার দলের প্রার্থীদের মাঠে নামানো আকর্ষণীয় কারণ, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনে ‘মিম’ ৪০টি আসনের মধ্যে ২৬টি জিতেছিল, যার মধ্যে মোডাসাতে ৯টি, গোধরায় ৬টি,  ভরুচের ১টি আসন ছিল। এবং আহমদাবাদে পৌর কর্পোরেশনের ৭টি আসন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গুজরাটের ভোটাররা ওয়াইসির দলের প্রতি আস্থা দেখায় কী না, সেটাই আকর্ষণীয় বিষয়। বিশেষ করে ‘মিম’ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণার পরে রাজ্যের সেই আসনগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে যেখানে প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করে মুসলিম ভোটাররা। 

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে গুজরাট রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। হিন্দুরা  গুজরাটের জনসংখ্যার ৮৮.৫৭ শতাংশ। গুজরাটে ৬.০৪ কোটির মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা মোট ৫৮.৪৭ লক্ষ (৯.৬৭ শতাংশ)। গুজরাটে খ্রিস্টান জনসংখ্যা মোট ৬.০৪ কোটির মধ্যে ৩.১৬ লাখ (০.৫২ শতাংশ)। যদিও এই তথ্য ২০১১ সালের,  পরে এটি পরিবর্তিত হয়েছে। রাজ্যটিতে মুসলিম জনসংখ্যা কম হতে পারে কিন্তু ৩৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি। একই সময়ে, গুজরাটে ২০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে যেখানে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ২০ শতাংশের বেশি। এই ২০টি আসনের মধ্যে, চারটি আহমদাবাদ জেলায় এবং তিনটি ভারুচ এবং কচ্ছ জেলায়। এই পরিসংখ্যানগুলো দেখে যে কেউ বলতে পারে যে রাজ্যের অনেক আসনে প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের সিদ্ধান্ত নিতে মুসলিম ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল- মুসলিম ভোটাররা ওয়াইসির দল ‘মিম’কে ভোট দেবেন কী না? ওয়াইসির দল যদি মুসলিম ভোটারদের ভোট পায়, তাহলে তা সরাসরি তার প্রার্থীর জয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।     

জামালপুর-খাদিয়ার বর্তমান বিধায়ক কংগ্রেসের ইমরান খেদাওয়ালা অবশ্য ‘মিম’-এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘আমার আসনের মুসলিম-হিন্দু অনুপাত ৬০:  ৪০ কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট না পেলে আমি জিততে পারব না। ‘মিম’ সরাসরি বিজেপির সুবিধা করবে বলেও বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালা মন্তব্য করেন।
 খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে