ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

সাড়ে ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই, ইলন মাস্কের দাবি, ‘আর কোনও উপায় নেই’


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৬ নভেম্বর, ২০২২, ০৮:১১ পিএম

সাড়ে ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই, ইলন মাস্কের দাবি, ‘আর কোনও উপায় নেই’

সাড়ে ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই, ইলন মাস্কের দাবি, ‘আর কোনও উপায় নেই’


 ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা। অনেক কর্মীর ইমেলে এল বার্তা। আগামিকাল থেকে আর কাজ করার দরকার নেই। কার্যত তাড়িয়েই দেওয়া হল টুইটারে (Twitter) গোটা মার্কেটিং বিভাগের কর্মীদের। জল্পনা ছিলই, বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বাস্তবে তা সত্যি হল। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, মার্কেটিং বিভাগের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে টুইটার। সংস্থার অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মীর চাকরি গেছে।
টুইটারের মালিক হয়েই তিন হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন স্পেস-এক্স প্রধান ইলন মাস্ক। সংস্থা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ভারতে টুইটারের মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশনস বিভাগের সমস্ত কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। শুক্রবার সকালেই ভারতে টুইটারের কর্মীদের মেল পাঠিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেছিল সংস্থা। এবার একে একে সংস্থার অন্য বিভাগগুলি থেকেও কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে।
একসঙ্গে এত কর্মী ছাঁটাই নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই টুইটারের নয়া মালিক ইলন মাস্কের।  তিনি টুইট করে বলেছেন, “সংস্থার দৈনিক ৪০ লক্ষ ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে , কর্মী ছাঁটাই করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।”

গত ২৭ অক্টোবর টুইটারের মালিক হওয়ার কয়ের ঘণ্টার মধ্যেই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, লিগাল এগজিকিউটিভ বিজয়া গাড্ডে, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সিগাল এবং জেনারেল কাউন্সেল শিন এজ়েটকে ছাঁটাই করেছেন মাস্ক। এর পর থেকেই সংস্থার ৭,৫০০ কর্মীর অর্ধেকেরও বেশিকে ছাঁটাই করা হবে বলে দাবি করেছিল আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যম। শুক্রবার থেকেই সে প্রক্রিয়াই শুরু হয়ে গেল। পরাগদের ছাঁটাইয়ের পর থেকে সপ্তাহখানেক ধরেই সংস্থার বিজ্ঞাপন, মার্কেটিং এবং মানবসম্পদ বিভাগের বহু শীর্ষ কর্তাই টুইটারের কাজ ছেড়ে দিতে শুরু করেছেন।
টুইটারের আমেরিকা ও কানাডার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর মাইকেল অস্টিন বলেছেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আমার চাকরি নেই। এত বছর টুইটারের সঙ্গে জড়িত। আমি মর্মাহত।”
ভারতে টুইটারে প্রায় ২০০ জন কর্মী ছিলেন। ৫০ শতাংশ কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধুমাত্র সেলস ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হাতে গোনা কয়েকজন কর্মীদের চাকরি রয়েছে। টুইটারের তরফে পাঠানো মেলে বলা হয়েছে, “আমরা জানি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আপনাদের যেতে হচ্ছে। দয়া করে সকলে ধৈর্য ধরুন।” টুইটারকে সঠিক পথে নিয়ে যেতেই নাকি এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।

খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে