ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক বিজেপি নেতার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ০৬:১১ পিএম

জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক বিজেপি নেতার

জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক বিজেপি নেতার

ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র স্যাভিও রডরিগেস। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার, ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ ফুটবলপ্রিয় মানুষকে তিনি অনুরোধ করেছেন, তারা যেন কাতারে বিশ্বকাপের অনুষ্ঠান বয়কট করেন। 

বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে জাকির নায়েক ওই দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করবেন বলে কাতারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্পোর্টস চ্যানেল ‘আলকাস’ জানিয়েছে। আলকাসের ওই সিদ্ধান্তের কথা প্রচার করেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘আল আরবিয়া নিউজ’। এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই গোয়া রাজ্যের বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র স্যাভিও রডরিগেস মঙ্গলবার ভারত সরকারকে ওই অনুরোধ জানান।

স্যাভিও বলেন, ‘গোটা পৃথিবী যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, জাকির নায়েক তখন ঘৃণা ছড়াতে ব্যস্ত।’ রডরিগেসের এই দাবি সরকারের পক্ষে আরও বিব্রতকর ও বিড়ম্বনার এই কারণে যে বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধন উপলক্ষে কাতারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। 

কাতারের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ ভালো। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বার্ষিক পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছরের। কাতারে সাড়ে আট লাখ ভারতীয়ের বসবাস। কোনোভাবেই এই সম্পর্কে অশুভ ছায়া পড়ুক ভারত চায় না। কয়েক মাস আগে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা মহানবী (সা.)–এর বিরুদ্ধে ‘অসম্মানজনক’ উক্তি করার পর কাতারই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। দোহায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। কাতারের দেখাদেখি প্রতিবাদী হয়েছিল অন্যান্য মুসলিম দেশও। ফলে ভারত সরকার বাধ্য হয়েছিল নূপুর শর্মাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছিল, তাদের চোখে সব ধর্মই সমান। ধর্মীয় ক্ষেত্রে ভারতে কোনো বৈষম্য নেই।

চলতি বছরের মার্চ মাসে জাকির নায়েক প্রতিষ্ঠিত ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’কে ভারত সরকার বেআইনি ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সংগঠনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধও করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গোয়ার বিজেপি নেতার এই দাবি নিয়ে ভারত সরকার বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। সরকারের এক সূত্রের কথায়, দাবিটা বিজেপির দিক থেকে উঠেছে বলে সরকার ও দলের পক্ষে তা বিব্রতকর, অস্বস্তিকর ও বিড়ম্বনার।