ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

৬০ জন পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন দলিত পাত্র ও উচ্চবর্ণের পাত্রীর! দিলেন উপহারও


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০২:১১ পিএম

৬০ জন পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন দলিত পাত্র ও উচ্চবর্ণের পাত্রীর! দিলেন উপহারও

৬০ জন পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন দলিত পাত্র ও উচ্চবর্ণের পাত্রীর! দিলেন উপহারও

 দলিত পাত্রের (Dalit Groom) সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল উচ্চবর্ণের পাত্রীর (Upper caste bride)। কনের ইচ্ছা ছিল, ঘোড়ায় চড়ে (Riding horse) আসবেন তাঁর বর। ডিজে বাজিয়ে আসবেন বরযাত্রীরা। কিন্তু নিম্নবর্ণের লোকের শোভাযাত্রা করে বিয়ে করতে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গ্রামের উচ্চবর্ণের মাতব্বরদের। তাই বিয়েতে যাতে কোনও গোলমাল না বাঁধে, তা নিশ্চিত করতে বরযাত্রীসহ বরকে পাহারা দিয়ে মণ্ডপে নিয়ে এলেন পুলিশের ৪৪ জন কনস্টেবল, ১৪ জন সাব ইন্সপেক্টর, একজন ইন্সপেক্টর এবং একজন সার্কেল অফিসার (60 cops escort dalit groom)।

আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UP) গুন্নৌর এলাকার লোহামাই গ্রামে। সূত্রের খবর, ২৫ নভেম্বর বিয়ে ঠিক হয়েছিল গ্রামের বাসিন্দা উচ্চবর্ণের তরুণীর রবিনা বাল্মীকির। কিন্তু পাত্র ছিল নিম্নবর্ণের। আর পাঁচটা মেয়ের মতো হবু কনের ইচ্ছে ছিল, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে ডিজে বাজিয়ে ঘোড়ায় চড়ে মণ্ডপে আসবেন বর। কিন্তু সেই ইচ্ছের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল গ্রামের উচ্চবর্ণের মাতব্বরদের ফরমান। তাঁদের সাফ নির্দেশ ছিল, দলিত পরিবারের কেউ শোভাযাত্রা সহকারে বিয়ে করতে যেতে পারবে না।।

মেয়ের ইচ্ছের মর্যাদা দিতে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাত্রীপক্ষ। রবিনার কাকা রাজেন্দ্র বাল্মীকি সাম্ভালের জেলাশাসককে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উচ্চবর্ণের কিছু লোকজন কিছুতেই দলিত পাত্রকে ঘোড়ায় চড়ে শোভাযাত্রা সহকারে বিয়ে করতে আসতে দেবে না। তাই পাত্রপক্ষ এবং অতিথির অভ্যাগতদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি প্রহরার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের দাবি মতোই সাম্ভালের পুলিশ সুপার চক্রেশ মিশ্র শোভাযাত্রা ও বিয়ের জন্য নিকটবর্তী একাধিক থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।


শেষমেশ ৪৪ জন কনস্টেবল, ১৪ জন সাব ইন্সপেক্টর, একজন ইন্সপেক্টর এবং একজন সার্কেল অফিসারের উপস্থিতিতে নির্বিঘ্নেই সমাধা হয়েছে বিয়ের কাজ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিয়ের উপহার হিসেবে রবিনাকে মোট ১১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। গ্রামের মাতব্বরদের ফতোয়া সত্ত্বেও শান্তিতে চার হাত এক হওয়ার পর খুশি নতুন বউয়ের বাড়ির লোকজন। রবিনার মা উর্মিলা বাল্মিকী পুরো ঘটনায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ‘আমার মেয়ে খুব খুশি। ওর স্বপ্ন পূরণ করেছে পুলিশ। আমরা ওঁদের কাছে কৃতজ্ঞ,’ জানিয়েছেন তিনি।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে