ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

পাকিস্তানে হিন্দু মহিলার শিরশ্ছেদ, স্তন কেটে ছিঁড়ে নেওয়া হল চামড়া! নারকীয় ঘটনায় শোরগোল


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:১২ পিএম

পাকিস্তানে হিন্দু মহিলার শিরশ্ছেদ, স্তন কেটে ছিঁড়ে নেওয়া হল চামড়া! নারকীয় ঘটনায় শোরগোল


পাকিস্তানে হিন্দু মহিলার শিরশ্ছেদ, স্তন কেটে ছিঁড়ে নেওয়া হল চামড়া! নারকীয় ঘটনায় শোরগোল

 ফের পাকিস্তানে (Pakistan) নৃশংসভাবে খুন হলেন এক হিন্দু মহিলা। বুধবার তাঁর মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয় খণ্ডবিখণ্ড অবস্থায়। শুধু তাই নয়, খুনের পর বছর চল্লিশের ওই মহিলার উপর আরও নির্যাতন চলে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পাকিস্তানের শিনঝোরো প্রদেশে যান জনপ্রতিনিধি কৃষ্ণা কুমারী। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আরও তথ্য জানতে পারেন তিনি। দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি টুইটে (Tweet) বিস্তারিত জানিয়েছেন।


শিনঝোরো শহরের বাসিন্দা দয়া ভীল, বছর চল্লিশ। জানা গিয়েছে, বুধবার এক কৃষিজমিতে তাঁর মাথা কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্তন কাটা ছিল। মুখাবয়ব ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে চামড়া ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের হিন্দু (Hindu) সেনেটর কৃষ্ণা কুমারী টুইটে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Murder) কথা জানিয়েছেন। কী অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়েছেন সেনেটর।


খবর পেয়ে কৃষ্ণা কুমারী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সঙ্গে শিনঝোরো ও শাহপুরচকর থানা এলাকার পুলিশ। তাঁরাই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। জানা গিয়েছে, দয়া ভীলের চার সন্তান রয়েছে। কিন্তু কী কারণে তাঁকে এভাবে খুন করা হল, কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি এখনও। এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির জনপ্রতিনিধি জিয়ালা অমর লাল। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মত, এটি পাকিস্তানের হিন্দু অত্যাচারের ঘটনামাত্র। দিনদিন তা বেড়ে চলেছে।

এমনিতেই পাকিস্তানের মতো দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টি দিনদিন আরও প্রকট হচ্ছে। এই ঘটনা নতুন নয়। হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরণ, জোর করে বিয়ে, নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সবর বিভিন্ন সংগঠনগুলি। দয়া বেহলের হত্যাকাণ্ডে যোগ হল আরও একটি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির বক্তব্য, সংখ্য়ালঘু নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তানের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে