ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

দাঙ্গা বাধিয়ে ইরানের সরকার ও জনগণের ক্ষতি করতে চেয়েছিল শত্রুরা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম

দাঙ্গা বাধিয়ে ইরানের সরকার ও জনগণের ক্ষতি করতে চেয়েছিল শত্রুরা

দাঙ্গা বাধিয়ে ইরানের সরকার ও জনগণের ক্ষতি করতে চেয়েছিল শত্রুরা


ইরানের শত্রুরা সম্প্রতি বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে এ দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থা ও জনগণের বিরাট ক্ষতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু অতীতের মতোই এবারও তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে এবং ইরানের জনগণের ঐক্য ও সংহতি এবং ইসলামি ইরান তার লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে আরো বেশি সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো হতাশ হয়ে পড়ায় এবং ইরানের ব্যাপারে তাদের সব হিসাব নিকাশ ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের শুরু থেকেই শত্রুরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লেলিয়ে দেয়াসহ নানাভাবে এ দেশটির বিরুদ্ধে শত্রুতায় অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শত্রুরা তাদের সকল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ ও মিডিয়া সুবিধা নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে দেখা গেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায়  এবং  প্রক্সিযুদ্ধ  বাধিয়ে ইরানের ভেতর ও বাইরে থেকে দুর্বল করার ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইরানকে  কাবু করার জন্য ইসরাইল ও পাশ্চাত্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরান বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এ ছাড়া ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টির অংশ হিসেবে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বানোয়াট দল বা গ্রুপ সৃষ্টি করে এবং কাউকে নেতা বানিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দেয়াসহ শিক্ষক, ছাত্র ও শ্রমিকদেরকে ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে উস্কানি দেয়।

ইরানে সরকার বিরোধী গোলযোগ শুরুর পরপরই পাশ্চাত্যের দেশগুলো দাঙ্গাবাজ ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতি সমর্থন দিয়েছিল এবং গোলযোগ পরিস্থিতির সুযোগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের  অজুহাতে তারা ইরানের বিরুদ্ধে আরো কঠোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানকে কোণঠাসা করা যায় এবং ভেতর থেকেও দেশটিকে দুর্বল করা যায়।

এতে  কোনো সন্দেহ নেই যে মার্কিন নেতৃত্বে  পাশ্চাত্যের দেশগুলো, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তাদের আরব মিত্রদের অপপ্রচার, রাজনৈতিক চাপ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ইরানের নিরাপত্তা বিভাগ, সরকার ও জনগণের সতর্কতার কারণে শত্রুদের কোনো  লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি এবং বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। শত্রুদের ব্যর্থতার অতীত ও বর্তমান রেকর্ড থাকা সত্বেও তারা সুযোগ পেলেই ইসলামি ইরানকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা  আয়াতুল্লাহিল  উজমা খামেনেয়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিক ঘটনায় শত্রুদের পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শত্রুরা ইরানকে ক্ষতি করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু তাদের হিসাব নিকাশ ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং বারবার পরাজিত হয়েছে ও ভবিষ্যতেও পরাজিত হবে। কিন্তু তাই বলে শত্রুদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের কখনোও উদাসীন হওয়া চলবে না।

খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে