ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

ছেলে হওয়ায় পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো, বিমান দুর্ঘটনায় ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম

ছেলে হওয়ায় পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো, বিমান দুর্ঘটনায় ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর

ছেলে হওয়ায় পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো, বিমান দুর্ঘটনায় ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর

 নেপালে (Nepal) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) যে পাঁচ ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে তাঁদের অন্যতম উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের বাসিন্দা সোনু জয়সওয়াল। চার বন্ধুর সঙ্গে গত ১০ জানুয়ারি নেপালে রওনা হন তিনি। বন্ধুরা নিখাদ বেড়াতে গেলেও বিশেষ উদ্দেশে হিমালয়ের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন সোনু। আসলে পুত্রসন্তানের আকাঙ্ক্ষায় বাবা পশুপতিনাথের কাছে মানত করেছিলেন, ছেলে হলে নেপালের বিখ্যাত হিন্দু তীর্থে নিজে গিয়ে পুজো দেবেন। মানত পূরণ হয়। এর ফলেই ঈশ্বরকে দেওয়া কথা রাখতে নেপাল যান। কিন্তু সেই যাওয়াই শেষ যাওয়া হল। অবতরণের আগে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান।

সাইত্রিশ বছরের সোনুর আত্মীয় বিজয় জয়সওয়াল জানান, ছয় মাস বয়েস হয়েছে সোনুর ছেলের। মানত পূরণ হওয়ায় পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যান। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক, বিশাল ও অনিল। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বিমান দুর্ঘটনায়। জানা গিয়েছে, সোনুর দুই মেয়ে রয়েছে। এর পরে তিনি ছেলে হওয়ার জন্য কাঠমাণ্ডুর জাগ্রত পশুপতিনাথের মন্দিরে মানত করেন। মানত পূরণ হওয়ার পরে চার বন্ধু মিলে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো তিন বন্ধু অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২) এবং অনিল কুমার রাজভর (২৭)-এর সঙ্গে গত ১০ জানুয়ারি নেপালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সোনু।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভারতে ফেরার কথা ছিল সোনুদের। যদিও তা আর সম্ভব হয়নি ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই ভেঙে পড়ায়। ওই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ৬৮ জন যাত্রী এবং চার বিমান কর্মীর মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গাজীপুরে সোনুর গ্রাম চক জয়নাবে। জানা গিয়েছে, সোনুর স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে এখনও দুঃসংবাদ জানানো হয়নি।


এদিকে পোখরায় বিমান ভেঙে পড়ার আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মৃত্যু অনিবার্য বুঝেও বিমান ভেঙে পড়ার আগের মুহূর্তের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন এক যাত্রী। বিমানের ধ্বংসাবশেষের কাছ থেকে একটি মোবাইল খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা। তাতেই ছিল শেষ মুহূর্তের ভিডিও। যদিও সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিমান অবতরণের আগে জানালা থেকে গোটা শহরের ছবি। এর পরই আচমকা একটি বিস্ফোরণের আওয়াজে গোটা বিমান কেঁপে ওঠে। ঝাঁকুনিতে ওই যাত্রীর হাত থেকে ফোনটি পড়ে যায়। ভিডিওর শেষ কয়েক সেকেন্ড অসহনীয়। দেখা যায়, জানালার বাইরে ভয়ঙ্কর আগুন। এইসঙ্গে শোনা যায় যাত্রীদের কান্নার আওয়াজ। এছাড়াও বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এর ফলে বিমান ভাঙার প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২৩/একে