ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

কোলকাতায় আইএসএফের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দায় সোচ্চার মুসলিম নেতারা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২২ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:০১ পিএম

কোলকাতায় আইএসএফের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দায় সোচ্চার মুসলিম নেতারা

কোলকাতায় আইএসএফের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দায় সোচ্চার মুসলিম নেতারা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ‘আইএসএফ’-এর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দায় সোচ্চার হয়েছেন মুসলিম নেতারা।

ওই বিষয়ে আজ (রোববার) ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক ও ‘ফ্রন্টপেজ অ্যাকাডেমি’র চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,  ‘গতকাল কোলকাতায় ‘আইএসএফ’ কর্মী-সমর্থকদের উপরে কোলকাতা পুলিশের যে আক্রমণ তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি একটি সর্বভারতীয় চ্যানেল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখ থেকে যা দেখলাম ও শুনলাম, তাতে মনে হয়েছে যে, পুলিশ কেবলমাত্র অবরোধকারীদের উপরে বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে। এই ধরণের আক্রমণ পুলিশ না করলেই পারত। কোলকাতায় একটি রাস্তা বন্ধ হলেও একাধিক রাস্তা দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তা ছাড়াও গতকাল অফিস ডে ছিল না। ছিল শনিবার। ফলে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলা যেত। কিন্তু পুলিশ যেভাবে নির্বিচারে সাধারণ নিরীহ মানুষদের উপরে লাঠি চালালো এবং তাদের গ্রেফতার করল, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’  

মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘কোলকাতা পুলিশের একটা চিরাচরিত একটা ঐতিহ্য ছিল তারা শাসক এবং বিরোধী সব দলের কর্মী-সমর্থক-নেতৃত্বকে বিগতদিনে সমান নজরে দেখেছে, সম্মান দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এই আচরণটা আমার অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক মনে হয়েছে। আমি অবিলম্বে যেসমস্ত পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি এবং যাদেরকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে যেসমস্ত নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের, তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’   


গতকাল (শনিবার) বিকেলে কোলকাতার ধর্মতলায় আইএসএফ সমর্থকদের বিক্ষোভ-অবরোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এরফলে মধ্য কোলকাতার যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।  ভাঙড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে এদিন হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার কোলকাতায় সভা ছিল আইএসএফের। এ সময়ে অবরোধ তুলতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ ও আইএসএফ কর্মীরা আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও তার সমর্থকদের।

ওই ইস্যুতে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ইয়াহিয়া এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘বিধায়ক নওশাদের উপর পুলিশের যে বর্বরোচিত ও অমানবিক আচরণ, আমরা এর তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি। অদ্ভূত যুক্তি শুনালাম যে, প্রিজন ভ্যানের কাঁচ ভাঙার জন্য তারা নাকি লাঠিচার্জ করেছেন, অদ্ভূত! কিছুদিন আগে এই বাংলায়, এই কোলকাতায় অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে, মিটিংয়ে-মিছিলে পুলিশের গাড়িকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের  কর্মীদের তাড়িয়ে তাড়িয়ে মারার ভিডিয়ো আমরা দেখেছি। পুলিশের কর্মীরা প্রাণভয়ে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কই তখন তো লাঠি চার্জ করতে দেখিনি!’ যারা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির উপরে অত্যাচার করেছে সেব ব্যক্তিকে অবিলম্বে শাস্তির মুখোমুখি করা হোক বলেও মন্তব্য করেছেন বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ইয়াহিয়া। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদারাও পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন।
 খবর পার্সটুডে/ এনবিএস/২০২৩/একে