ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

১২ বছর পর প্রথমবার, SCO বৈঠকে পাক বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ ভারতের


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম

১২ বছর পর প্রথমবার, SCO বৈঠকে পাক বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ ভারতের

১২ বছর পর প্রথমবার, SCO বৈঠকে পাক বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ ভারতের

 ১২ বছর পর প্রথমবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে দেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাল ভার‍ত। মে মাসে এসসিও সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন হবে গোয়ায়। সেখানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হল পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারিকে (Bilawal Bhutto Zardari)। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে শেষবার ভারতে এসেছিলেন তৎকালীন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। তারপর দুই দেশের সম্পর্কে একাধিক বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। তারপরেই পাক বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

নয় মাসের জন্য সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সভাপতিত্ব করবে ভারত। তাই দেশের মাটিতেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। মে মাসের ৪ ও ৫ তারিখ বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন হবে গোয়ায়। সেখানেই উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিলাবলকে। ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তবে এই সম্মেলনে বিলাবল যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি পাকিস্তানের তরফে। চিনের বিদেশমন্ত্রীকেও এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে ২০১৫ সালে পাক সফরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বর্তমান বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরও সেই সফরে গিয়েছিলেন। তবে ভারতে আসা শেষ পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটানো খুবই কঠিন। তাঁর মতে, ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে ভারতকে। তা না হলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়।

মুম্বইতে আয়োজিত এসসিও ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নেবে না পাকিস্তান। সমস্ত সদস্য দেশের তরফে সিনেমা পাঠানো হলেও পাকিস্তান কোনও ছবি পাঠায়নি। তাই বিলাবলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ করে শিক্ষা হয়েছে পাকিস্তানের। তাই আর লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চায় না তারা। বরং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া দরকার। 
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২৩/একে