ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

নিউ মার্কেটে কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদকে রড দিয়ে পেটায় সিয়াম, কোপায় ইমন : র‌্যাব 


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৫ মে, ২০২২, ০২:০৫ পিএম

নিউ মার্কেটে কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদকে রড দিয়ে পেটায় সিয়াম, কোপায় ইমন : র‌্যাব 

নিউ মার্কেটে কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদকে রড দিয়ে পেটায় সিয়াম, কোপায় ইমন : র‌্যাব 

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে  র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বুধবার রাতে কক্সবাজার থেকে নিউমার্কেটে সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী  দোকান কর্মচারী মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব ও মেহেদী হাসান বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদকে রড দিয়ে পেটানো ঢাকা কলেজেরে শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান সিয়ামকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, বাপ্পি ও সজীব নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডে কর্মচারী ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রাজধানীর নিউমার্কেটের ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুড এবং ওয়েলকাম ফাস্টফুড এর কর্মচারীদের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল ইফতার বিক্রির টেবিল বসানো নিয়ে বাকবিতন্ডার সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে তারা পরিচিত কিছু দুষ্কৃতিকারীকে মোবাইল ফোন দিয়ে ডেকে আনে। রাত সাড়ে  ১১টায় ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতিকারী এসে ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুড দোকান কর্মচারীদের মারধর করে। এ সময় অন্যান্য দোকানের কর্মচারীরা আক্রমন প্রতিহতের চেষ্টা চালায়।

তিনি বলেন,  দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। পরবর্তীতে ব্যাপক আকারে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর বাপ্পী ও সজীব কক্সবাজারে আত্মগোপন করে এবং নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য তার লম্বা চুল কেটে ছোট করে এবং কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলে চাকুরীর চেষ্টা চালায়।  

মঈন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইটের আঘাতে নাহিদ পড়ে যান। এরপর তাকে রড দিয়ে বেধড়ক আঘাত করেন সিয়াম। ফুটেজে আরেকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায়। তার নাম ইমন বাশার।   কোন পাশ থেকে বা কার ইটের আঘাতে নাহিদ পড়ে যান, তা চিহ্নিত করতে পারেনি র‌্যাব। ইমন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মঈন আরও বলেন,  সিয়াম হলে থাকতেন না। তিনি ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাইরে থেকে এসে কলেজ ছাত্রদের পক্ষে সংঘর্ষে জড়ান তিনি। 

এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায়  ২৭ এপ্রিল  রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা কলেজেরে ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,  আব্দুল কাইয়ুম, পলাশ মিয়া, মাহমুদ ইরফান,  ফয়সাল ইসলাম ও  জুনাইদ বুগদাদী। এনিয়ে ৮ জন গ্রেপ্তার হয়।