ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

গোপন ক্যামেরায় পরীক্ষার্থীদের সাহায্য, শিক্ষককে খুঁজছে ইন্টারপোল


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০২:০২ পিএম

গোপন ক্যামেরায় পরীক্ষার্থীদের সাহায্য, শিক্ষককে খুঁজছে ইন্টারপোল

 গোপন ক্যামেরায় পরীক্ষার্থীদের সাহায্য, শিক্ষককে খুঁজছে ইন্টারপোল

আন্তর্জাতিক অপরাধীর চেহারা হিসেবে মুলত এমন কারও চিত্র আমাদের মানসপটে ভেসে আসে যে কিনা হয়ত কুখ্যাত খুনী বা দুর্ধর্ষ ব্যাংক ডাকাত দলের কোনো সর্দার কিংবা বিলিয়ন ডলার প্রতারণা বা অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। কিন্ত দৃশ্যটা যদি বিপরীত হয় আর দেখা যায় একজন মধ্যবয়সী স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক টিউশন সেন্টারের প্রধান শিক্ষিকাকে খুঁজছে ইন্টারপোল তবে তা কেমন হবে! এবারে কিন্ত তাই হলো।

সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে ১৯৪টি দেশের সহযোগিতা চেয়ে জারি করা হয়েছে ‘লাল নোটিশ’। ‘পো ইউয়ান নাই’ নামের ৫৭ বছর বয়সী যিনি কিনা সিংগাপুরের একটি টিউশন সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতেন। অভিযোগ উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীদের ‘জিসিই ও লেভেল’ চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার সময় তিনি বিভিন্ন আধুনিক ডিভাইস যেমন-বডি ক্যামেরা, ব্লুটুথ, ইয়ার ফোনের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দিতেন। পরে দেশটির আদালত পো ইউয়ানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিলে তিনি আত্মসমর্পণ না করে ফেরারী হয়ে যান। অভিযোগে জানা যায়, তার সাথে এই কাজে আরও তিন শিক্ষক জড়িত ছিলেন।

সিংগাপুরে বেসরকারি এসব ‘স্টাডি সেন্টার’ ব্যাবসায়িক দিক থেকে অনেক লাভবানী একটি মাধ্যম। প্রতিমাসে যেখানে একজন শিক্ষার্থীর পিছনে অভিভাবককে গুণতে হয় সিংগাপুরিয়ান ২০০০ (১৫০০ মার্কিন ডলার)। পরীক্ষায় ভাল রেজাল্টের প্রত্যাশায় এই ‘স্টাডি সেন্টার’গুলো অপরিহার্য অনেকটাই। আদালতের অভিযোগ পত্রে দেখা যায়, ২০১৬ সালে পো ইউয়ানের ভাগ্নে পো মিন ও তার বান্ধবী তান জিয়া ইয়ান সহ তিন সহযোগী যাদের মধ্যে অন্যতম একজন চীনা নাগরিক ফেং রিওয়েন যারা কিনা এই কাজে সিঙ্গাপুরিয়ান ৮ হাজার ডলারের (মার্কিন ৬১০০ ডলার) বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশের ব্যাবস্থা করে দিতেন। তবে অকৃতকার্য হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে শর্তও জুড়ে দিতেন তারা।
 
পো ইউয়ানের নির্দেশ অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা স্কিন কালারের ইয়ার ফোনের সাথে মোবাইল ও ব্লু টুথ সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতেন। আর হলের বাইরে থেকে পোর সাথে দুই শিক্ষক লাইভে থেকে প্রশ্নের উত্তর বলে দিতেন। কয়েক বছর ধরে চলা শুনানীর পর ২০২০ সালে আদালত পো ইউয়ানকে চার বছরের সাজা দেন। পরে আত্মসমপর্ণের জন্য পোর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘লাল নোটিশ’ জারি করলেও তিনি পলাতক রয়েছেন। গত ২০১৬ সাল থেকে পো ইউয়ান এই প্রতারনার কাজে জড়িত বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এনবিএস/ওডে/সি