ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

ভূমিকম্পে হতবিহ্বল লোকেরা জানে না কোথায় যেতে হবে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০২:০২ পিএম

ভূমিকম্পে হতবিহ্বল লোকেরা জানে না কোথায় যেতে হবে

 ভূমিকম্পে হতবিহ্বল লোকেরা জানে না কোথায় যেতে হবে

তুরস্কের গাজিয়ানটেপের আলজাজিরার প্রযোজক আহমদ আল-খতিব ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি এখন কোথায় যাবেন তা জানেন না।

আল-খতিব বলেন, “আপনি দেখছেন যে, রাস্তা ও রাস্তার বাইরে দিয়ে শত শত ও হাজার হাজার মানুষ গাড়িতে চলাচল করছে। লোকজন এমনকি মসজিদ বা সরকারি ভবনগুলোকে নিরাপদ বলে মনে করছে না। তারা বাইরে খোলা জায়গায় অবস্থান করাকে ভাল মনে করছে। সেখানে এখন প্রচন্ড শীত, তাপমাত্রা শুণ্য ডিগ্রীর নীচে।”

সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলটি সরকার নিয়ন্ত্রিত ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিভক্ত। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ছিটমহলটি রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট সরকারী বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা পেতে তুরস্কেও রয়েছে ৩০ লক্ষাধিক সিরিয় উদ্বাস্তু।

দামেস্ক সরকার ও হোয়াইট হেলমেটের হিসেবে সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে ১৩০০ জন। উত্তরপশ্চিম সিরিয়ার বিধ্বস্ত বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে উদ্ধারকর্মীরা মূলত তৎপরতা চালাচ্ছে। হায়াইট হেলমেট এক বিবৃতিতে জানায়, ধ্বংসস্তুপের নীচে শত শত পরিবার আটকা পড়ে আছে।

সিরিয়ায় জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়ক এল মোস্তফা বেনলামলিহ বলেন, অঞ্চলটি জুড়ে অসংখ ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। পানির উৎসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আমরা ট্যাংকের পানির ওপরই বেশি করে নির্ভর করছি। যেগুলো মেরামত বা নতুন করে তৈরি করা দরকার।

এল মোস্তফা বলেন, জ্বালানী পাওয়া যাচ্ছে না এবং অনেক হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের বিপুল পরিমান সাহায্য প্রয়োজন।

এনবিএস/ওডে/সি