ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্রের অফিসগুলোতে কোভিড মহামারীর পর প্রথমবার ৫০ শতাংশ লোকবলের উপস্থিতি


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের অফিসগুলোতে কোভিড মহামারীর পর প্রথমবার ৫০ শতাংশ  লোকবলের উপস্থিতি

 যুক্তরাষ্ট্রের অফিসগুলোতে কোভিড মহামারীর পর প্রথমবার ৫০ শতাংশ  লোকবলের উপস্থিতি

কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অফিসে লোকবল বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কোভিড শঙ্কা অনেকটা কেটে যাওয়ায় অফিসে উপস্থিতি ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি প্রধান শহরে অফিসে লোকবল উপস্থিতি ৫০.৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

২০২০ সালের মার্চে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন অফিস বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করার সুযোগ দেয়। এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অফিসগুলোতে কর্মীরা পুরোমাত্রায় ফিরে আসতে শুরু করেনি। বিশেষ করে শুক্রবারগুলোতে অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি সবচেয়ে কম ছিল। তবে বৃহস্পতিবার অফিসে সর্বাধিক উপস্থিতি থাকত। অফিস নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থা ক্যাসেলের জরিপ বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে অফিসে লোকবলের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের বেশি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের অফিসে লোকবলের উপস্থিতির ওপর ফের গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ শুরু করেছে। বিশেষ করে যারা অফিসে আসতে চাচ্ছে না তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ডিজনি ও স্ন্যাপচ্যাট কোম্পনি তার লোকবলকে আগামী মার্চ থেকে সপ্তাহে অন্তত চারদিন অফিসে উপস্থিত থাকার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অ্যাপেল ও স্টারবাক একই ধরনের বাধ্যতামূলক নিয়ম দিয়েছে সপ্তাহে ৩ দিনের। স্ন্যাপচ্যাটের প্যারেন্ট কোম্পানি অফিসে সময়মত আসার নির্দেশ দিয়েছে। তবে নতুন করে এধরনের বিধিনিষেধ নিয়ে অনেক কর্মী মোটেও সন্তষ্ট নয়।  

অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি অবশ্য গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, কর্মীদের র ফিরে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই। অনেক কর্মী আবার ইতিমধ্যে অফিসে আসার বাধ্যতামূলক বিধির বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যাচ্ছেন। ধর্মঘটকে সমর্থনকারী অ্যালফাবেট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মতে, বিক্ষোভে ইউটিউব মিউজিকের ৪০ জনেরও বেশি ঠিকাদার জড়িত। এসব ঠিকাদার কগনিজ্যান্ট নামে একটি তৃতীয় পক্ষের কোম্পানির জন্য কাজ করে। অ্যালফাবেট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মতে, ধর্মঘটকারী শ্রমিকদের প্রায় এক চতুর্থাংশ টেক্সাসের বাইরে অবস্থিত এবং বেশিরভাগ ঠিকাদারকে প্রাথমিকভাবে দূরবর্তী শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

গড়ে ইউটিউব সঙ্গীত কর্মীদের প্রতি ঘন্টায় ১৯ ডলার দেওয়া হয় এবং ব্যক্তিগত কাজের সাথে সম্পর্কিত স্থানান্তর, ভ্রমণ বা শিশু যত্নের খরচ বহন করা হয় না। বিশ্বব্যাপী শ্রমের ঘাটতি এবং একগুঁয়ে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের কারণে, লোকদের অফিসে ফিরে যেতে বাধ্য করা বিপরীতমুখী হতে পারে। কিন্তু অফিসে উপস্থিত না হলে বেতন কমানোর কথাও বলছে বিভিন্ন অফিস। কর্মক্ষেত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিভিন্ন কোম্পানির সংস্কৃতি, সহযোগিতা এবং তরুণ কর্মীদের পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি জন্যে অফিসে আসা জরুরি।

এনবিএস/ওডে/সি