ডোপ কেলেঙ্কারিতে ৪ বছর নিষিদ্ধ হলেন টেনিস তারকা হালেপ
গ্র্যান্ড স্লামের তিনটি ফাইনালে ব্যর্থতার পর ২০১৮ সালে প্রথম ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন হন সিমোনা হালেপ। পরের বছর কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে হন উইম্বলডনের নতুন চ্যাম্পিয়ন। ৩১ বছর বয়সী তারকার আলোকিত ক্যারিয়ার এখন অন্ধকারে ভরা। টেনিস অ্যান্টি-ডোপিং প্রোগ্রাম লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক এক নম্বর তারকা চার বছরের জন্য হলেন নিষিদ্ধ।
হালেপকে ২০২২ সালের অক্টোবরে অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। চার বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০২৬ সালের ৭ অক্টোবর আবারো খেলতে পারবেন। সেসময়ে তার বয়স হবে ৩৫ বছর।
স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছে, হালেপ ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যান্টি-ডোপিংয়ের বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তবে রোমানিয়ান এ টেনিস তারকা জানিয়েছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে ক্রীড়া আদালতে আপিল করতে চান।
এক সাক্ষাৎকারে হালেপ বলেন, এই মিথ্যা অভিযোগগুলো থেকে আমার নাম মুছে ফেলার জন্য অনুশীলন ও ক্ষমতার পুরোটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গতবছর আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াই ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমার লড়াই অব্যাহত রয়েছে। টেনিসের মতো সুন্দর খেলায় আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। আমাদের খেলাধুলার নিয়মগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকি। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করিনি বলে গর্ব করি। আমি চার বছরের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানাই।
তিনি বলেন, তিনি ২০২২ সালে হার্ড কোর্টের মৌসুমের আগে দলের সুপারিশের ভিত্তিতে পুষ্টিকর উপাদান গ্রহণের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য করেছিলেন এবং তালিকাভুক্ত উপাদানগুলোর মধ্যে কোনো নিষিদ্ধ পদার্থ অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সালের প্রথমদিকে আমার ডোপ টেস্টে প্রাথমিকভাবে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে প্রায় সাপ্তাহিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার সবকটিই নেগেটিভ এসেছিল। আমি পরিচ্ছন্ন খেলায় বিশ্বাস করি এবং একজন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে প্রায় দুই দশক ধরে, শত শত টুর্নামেন্ট এবং দুটি গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জিতেছি। আমার শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থ আছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য ২০০ বার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করেছি। সবগুলো রিপোর্ট ছিল পরিষ্কার।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


