এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি জানিয়েছেন, প্রায় দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত একজন নিহত বা আহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলের আইন হাবেসর কমিউনিটিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হালেভি বলেন,
“গাজায় প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস করে। আজ সেখানে ১০% এরও বেশি নিহত বা আহত হয়েছেন, সংখ্যাটি দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এটি কোনোভাবেই মৃদু যুদ্ধ নয়।”
ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিল
হালেভির দেওয়া এই সংখ্যা ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের সঙ্গে বেশ কাছাকাছি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৬৫,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
যদিও যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার এ ধরনের পরিসংখ্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আসলে হামাসের সরবরাহ করা তথ্যের ওপর নির্ভর করে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে।
চুপচাপ দেওয়া বক্তব্যে হালেভির বিস্ফোরক মন্তব্য
হালেভির এই মন্তব্য গত মঙ্গলবার করা হলেও তা ইসরায়েলি মিডিয়ায় প্রচারিত হয় সপ্তাহান্তের আগে। অনেক গণমাধ্যম তার বক্তব্যের অডিও রেকর্ডিংও প্রকাশ করে। পরে সিএনএন অডিওর একটি কপি হাতে পেয়ে অনুষ্ঠানটির এক অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত করেছে যে সত্যিই হালেভি সেখানে বক্তব্য রেখেছিলেন। উল্লেখ্য, যুদ্ধের প্রথম ১৭ মাস হালেভিই ছিলেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধানের ব্যর্থতা ও পদত্যাগ
হালেভি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে চলতি বছরের মার্চে পদত্যাগ করেন। তিনি আরও দাবি করেন, সামরিক বাহিনীর প্রধান আইনজীবী কখনও তার কর্মকাণ্ড বা আদেশে কোনো বাধা দেননি।
আইডিএফের প্রধান সামরিক আইনজীবী মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি সম্প্রতি ডানপন্থী রাজনীতিকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, তিনি সামরিক অভিযানে আইনি সীমাবদ্ধতা চাপিয়ে বিজয়কে বিলম্বিত করছেন।
কিন্তু হালেভি পরিষ্কারভাবে বলেন,
“কেউ আমাকে কখনও সীমাবদ্ধ করেনি। সামরিক প্রসিকিউটরও নয়—কারণ তার এমন কোনো ক্ষমতাই নেই। আইনি উপদেষ্টারা সবসময় বলেন: আমরা আইনগতভাবে বিশ্বে কীভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করব, সেটিই রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”