জ্ঞানমঞ্চে সায়নী চাওড়ার ‘ধ্রুবপদ কথা’, ধ্রুপদ-কত্থক মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকল কলকাতা

 ধ্রুপদ (Dhrupada) এবং কত্থকের (Kathaka) অনন্য মেলবন্ধন দেখল তিলোত্তমা। গত ১৩ অগস্ট কলকাতার (Kolkata) বুকে জ্ঞানমঞ্চে (Gyan Mancha) অনুষ্ঠিত হল খ্যাতনামা কত্থক শিল্পী সায়নী চাওড়া (Sayani Chhora) নিবেদিত ‘ধ্রুবপদ কথা’ (Dhrubapada Katha)। সায়নী ও তাঁর ছোট্ট কন্যা আম্রপালি গণপতি বন্দনা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। দুজনের গান শেষ হতেই মঞ্চে উঠে আসেন সায়নীর দক্ষ তিন ছাত্রী ঋতুপর্ণা, টুসি এবং আহি।

তাঁদের সঙ্গে খ্যাতনামা ভরতনাট্যম শিল্পী সন্দীপন মণ্ডল মিলে একেবারে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করেন ‘রণজিতি’। রামায়ণে রামের লঙ্কাবিজয় নিয়ে তুলসীদাস রচিত এই গীতিকাব্যটিতে অসাধারণ নৃত্য প্রদর্শন করেছেন তাঁরা। এরপর ছিল সায়নীর একক নৃত্য- শিব-পার্বতী স্তুতি। তাঁর ছাত্রী টুসি, ঋতুপর্ণা, আহি এবং মল্লিকাকে সঙ্গে নিয়ে সায়নী আরও দুটি ধ্রুপদ আঙ্গিকে নৃত্য পরিবেশন করেন।

দর্শকের স্বাদ বদল করতে এরপর ছিল একটি মজার নাটক। রচনা, পরিচালনা এবং অভিনয়ে ছিলেন সুবর্ণপ্রতিম গিরি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিউলি নস্কর। এরই মাঝে ছিল সম্মাননা পর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন গুণীজন, পৃষ্ঠপোষক এবং আলোকচিত্রীদের মঞ্চে ডেকে সম্মান জানানো হয় আয়োজকদের তরফে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল মূলত দলগত পরিবেশনা। ঋতুপর্ণা বিশ্বাসের কত্থক নৃত্যায়নের ছাত্রীরা ‘বৈজু বাওরা’ রচিত একমেবাদ্বিতীয়ম ঈশ্বরের বন্দনায় অনবদ্য একটি নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর টুসি নস্কর ও স্টুডিও ব্লক ২৮৩-র ছাত্রীরা তিনতালে কত্থকের বোল ও শিব বন্দনা নিবেদন করেন। যাঁদের কত্থক নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা রয়েছে, তাঁদের পক্ষেই বোঝা সম্ভব, এই নৃত্যশৈলী কতটা কঠিন।

ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে বাগনানের মৌলিকা! সাবান-টুথপেস্টের বাক্সে ছবি এঁকেছে সে

সবশেষে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে ‘মেরা ভারত’ অনুষ্ঠিত হয়। তাতে একটি ছোট মেয়ের ভূমিকায় আম্রপালি চাওড়া সবার মন জয় করে নেয়। এককথায় বলতে গেলে এক অনবদ্য অনুষ্ঠানের সাক্ষী রইল শহর কলকাতা। খবর দ্য ওয়ালের  / এনবিএস/২০২২/একে

news