আজ এমন এক বিষাদগ্রস্ত গোধূলি দেখল বাংলাদেশ, যা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। একটি যুগের অবসান, একটি নক্ষত্রের পতন। বাংলাদেশের রাজনীতির মহাকাশ থেকে খসে পড়ল ধ্রুবতারা। কোটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন ‘আপোসহীন নেত্রী’ বেগম খালেদা জিয়া। আজ আর কোনো রাজনৈতিক বিভেদ নেই, আজ শুধুই হাহাকার। স্বামীর পাশেই যেন পরম শান্তিতে ঘুমালেন তিনি, যে মাটির টানে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন, সেই মাটিই আজ তাকে বুকে জড়িয়ে নিল। চোখের পানি আর সম্মানের সাগরে এক আপোসহীন মায়ের রাজসিক বিদায়।
সংসদ ভবন এলাকার জিয়া উদ্যান সাক্ষী হলো এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের। বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা। সূর্যের তেজ যখন কমতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হলো বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম শেষে তিনি ফিরে গেলেন তার প্রিয়তমা স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে। একই মাটিতে, পাশাপাশি চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের দুই অবিসংবাদিত নেতা। তাদের এই পুনর্মিলন যেন প্রকৃতিরই এক অমোঘ বিধান।
দাফনের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মায়ের কফিন যখন কবরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত হাজারো জনতা। মায়ের বিদায়লগ্নে তার দাফন প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নেন বড় ছেলে তারেক রহমান। দীর্ঘদিন পর মায়ের স্পর্শ না পেলেও, শেষ বিদায়টুকু তিনি নিজের হাতে দিতে পেরেছেন। পাশেই অশ্রুসজল চোখে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মীলা রহমান সিঁথি।
পরিবারের সদস্যদের কান্না আর উপস্থিত নেতাকর্মীদের আহাজারিতে জিয়া উদ্যান এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে আজকের এই শোক শুধু বিএনপির গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এক অতন্দ্র প্রহরী, যার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবার নয়।
এর আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে যখন মরদেহ জিয়া উদ্যানে নেওয়া হয়, তখন এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেনা ও নৌবাহিনীর চৌকস সদস্যরা যখন কফিন কাঁধে তুলে নেন, তখন মনে হচ্ছিল পুরো বাংলাদেশই যেন সেই কফিনের ভার বহন করছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও স্বামী জিয়াউর রহমানের সমাধির খুব কাছাকাছি তাকে সমাহিত করা হয়। নিয়ম মেনে, পূর্ণ ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় এই মহিয়সী নারীর শেষ বিদায়।
দাফনের আগে বেলা ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয় ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম জানাজা। জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ-জামানসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ। তবে সব প্রটোকল আর নিরাপত্তার চাদর ছাপিয়ে প্রধান হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি। লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে বাংলামটর, মহাখালী ও ধানমন্ডি পর্যন্ত।
জানাজার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ছেলের আকুতি কতটুকু ভারী হতে পারে, তা দেখল বিশ্ববাসী। জানাজার আগে তারেক রহমান তার মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। তিনি মায়ের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার কণ্ঠস্বর যখন কান্নায় রুদ্ধ হয়ে আসছিল, তখন উপস্থিত লাখো জনতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। একজন সন্তানের এই আর্তনাদ যেন প্রতিটি সন্তানের হৃদয়ে গিয়ে বিঁধেছিল।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ৮০ বছর বয়সী এই মহীয়সী নারী। ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এই চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে কোটি ভক্তের। আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গত ২৩ নভেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেড় মাসেরও বেশি সময় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ছিল সংগ্রামের এক মহাকাব্য। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে তিনি যেভাবে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠেছিলেন, তা রূপকথাকেও হার মানায়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে স্বামী জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর যখন বিএনপি গভীর সংকটে, ঠিক তখনই দলের হাল ধরেন তিনি। স্বামীর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ১৯৮২ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৮৪ সালে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। সেই থেকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন দলের অবিচল কান্ডারি।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা তাকে আসীন করেছিল ‘আপসহীন নেত্রী’র আসনে। দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি কখনো মাথানত করেননি। তার সেই আপসহীন মনোভাবই তাকে এনে দিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর সম্মান। ১৯৯১ সালে তার নেতৃত্বে বিএনপি অভাবনীয় জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এরপর তিনি আরও দুবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রতিটি ধূলিকণার সাথে মিশে আছে তার সংগ্রামের ইতিহাস।
চার দশকের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছেন, কিন্তু কখনো প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি। তিনি সব সময় বলতেন, "আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কথা বলি না।" তার এই রাজনৈতিক শিষ্টাচার আজকের দিনে বিরল। তিনি বিশ্বাস করতেন গণতন্ত্রে, তিনি বিশ্বাস করতেন জনগণের শক্তিতে। আর তাই তো জীবনের শেষ দিনগুলোতেও তিনি দেশের মানুষের কথাই ভেবেছেন, দেশের মাটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার স্বপ্ন দেখেছেন।
আজকের জানাজায় উপস্থিত জনসমুদ্র প্রমাণ করেছে, তিনি শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণমানুষের নেত্রী। জানাজায় অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষ কোনো দলের কর্মী নন, তারা সাধারণ পেশাজীবী, ছাত্র, শ্রমিক। শাহবাগ থেকে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আমিরুল ইসলামের কথাই ধরুন। তিনি রাজনীতি করেন না, কিন্তু একজন নেত্রীর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি হেঁটে এসেছেন। তার মতে, "একজন নেত্রী দেশের মানুষের জন্য জীবনে এত অত্যাচার সহ্য করেছেন, তার জন্য কয়েক কিলোমিটার হাঁটা কোনো কষ্টই নয়।"
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে যত এগোনো যাচ্ছিল, মানুষের ভিড় ততই বাড়ছিল। ফার্মগেট মোড় পর্যন্ত পৌঁছাতেই মানুষের জনস্রোত দেখা যায়। কারো মাথায় টুপি, কারো হাতে বাংলাদেশের পতাকা। সবার গন্তব্য একটাই—প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখা। কেউ দলবদ্ধভাবে, কেউ বা একা, কিন্তু সবার চোখেই ছিল শোকের ছায়া। এই ভালোবাসা কোনো কিছুর বিনিময়ে কেনা যায় না, এই ভালোবাসা অর্জন করতে হয় ত্যাগের বিনিময়ে।
ভিড় যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে পড়ে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফেরদৌস নাভিদ সকাল থেকেই গুলশানে অপেক্ষা করছিলেন। ম্যাডামকে এক নজর দেখার জন্য তিনি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে রওনা দেন, কিন্তু ভিড়ের কারণে এক্সপ্রেসওয়েতেই আটকে যান। এই তরুণ প্রজন্মের কাছেও খালেদা জিয়া এক অনুপ্রেরণার নাম, এক সাহসিকতার প্রতীক।
দূর থেকে মাইকে যখন বাজছিল খালেদা জিয়ার সেই অমর বাণী—"দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নাই, এটাই আমার ঠিকানা। এই দেশ, এই দেশের মাটি-মানুষই আমার সবকিছু"—তখন উপস্থিত জনতা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। তিনি কথা রেখে গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি দেশের মাটি আঁকড়ে ধরেছিলেন। এই দেশের মানুষের প্রতি তার যে ভালোবাসা, তা তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রমাণ করে গেছেন।
১৯৮২ সালে যখন তিনি রাজনীতিতে আসেন, তখন তার বয়স ছিল চল্লিশের নিচে। স্বামী হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে তিনি রাজপথে নেমেছিলেন। তার নেতৃত্বে গঠিত ৭-দলীয় ঐক্যজোট স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করেছিল। তিনি প্রমাণ করেছিলেন, একজন নারী চাইলে কোমল হাতে যেমন সংসার সামলাতে পারেন, তেমনি কঠোর হাতে রাষ্ট্রও পরিচালনা করতে পারেন। তার এই দ্বৈত সত্তাই তাকে করে তুলেছে অনন্য।
জানাজাস্থলে জনস্রোতের কারণে অনেকেই ফার্মগেটের তেজগাঁও কলেজের বেশি এগোতে পারেননি। জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মানুষ হতাশ হয়ে পেছনের দিকে ফিরে আসছিলেন। সেই ভিড়ের মধ্যে দিশা হারানো দুই বৃদ্ধের গল্প আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় খালেদা জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা। কাঁঠালবাগান থেকে আসা এই দুই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছিলেন। তাদের মতে, খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেওয়া মানে ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের অংশ হওয়া।
ভিড় ঠেলে কারওয়ান বাজারের দিকে তাকালে চোখে পড়ে এক অবিস্মরণীয় দৃশ্য। হাজার হাজার মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মাইকে জানাজার নির্দেশনার অপেক্ষায় তারা। কোনো কোলাহল নেই, কোনো বিশৃঙ্খলা নেই—আছে শুধু পিনপতন নীরবতা আর শ্রদ্ধা। এই নীরবতাই বলে দেয়, মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসত। এই দৃশ্য প্রমাণ করে, তিনি ছিলেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় আসীন এক রানী।
প্রায় ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপিকে বহুবার ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। বিপদে-দুর্যোগে তিনি ছিলেন দলের ঐক্যের প্রতীক। তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে, গৃহবন্দি রাখা হয়েছে, কিন্তু তার মনোবল ভাঙা যায়নি। তিনি ছিলেন ফিনিক্স পাখির মতো, ভস্ম থেকে বারবার উড়ে এসেছেন। তার এই হার না মানা মানসিকতাই তাকে করে তুলেছে কিংবদন্তি। তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল এক পর্বত।
আজ যখন আমরা তাকে বিদায় জানাচ্ছি, তখন মনে হচ্ছে—এ শুধু একজন নেতার বিদায় নয়, এ যেন একটি যুগের সমাপ্তি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয়, কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়। তার আদর্শ, তার সংগ্রাম, তার দেশপ্রেম আগামী প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি চলে গেলেন, কিন্তু রেখে গেলেন এক সমৃদ্ধ রাজনৈতিক উত্তরাধিকার।
সূর্য ডুবে গেছে, সন্ধ্যা নেমেছে জিয়া উদ্যানে। বেগম খালেদা জিয়া এখন শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন তার প্রিয়তম স্বামীর পাশে। এই দম্পতির রাজনৈতিক জীবন, তাদের ত্যাগ এবং দেশের জন্য তাদের অবদান বাংলাদেশ কোনোদিন ভুলবে না। ইতিহাস তাদের মনে রাখবে শ্রদ্ধার সাথে, ভালোবাসার সাথে।
বিদায় হে দেশনেত্রী, বিদায় হে আপসহীন নেত্রী। বাংলাদেশের প্রতিটি ধূলিকণা আপনাকে মনে রাখবে। আপনার এই চলে যাওয়া আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুন। আপনার আদর্শ আমাদের পথচলার পাথেয় হয়ে থাকবে চিরকাল। আপনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন—কোটি মানুষের হৃদয়ে, বাংলাদেশের ইতিহাসে।
ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে একজন আপোষহীন যোদ্ধা হিসেবে, যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন। আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায়। যতদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমান থাকবে, ততদিন আপনার কীর্তি অম্লান হয়ে থাকবে। আজ আপনাকে বিদায় জানাচ্ছি অশ্রুসজল চোখে, কিন্তু অন্তরে ধারণ করছি আপনার অসীম সাহস।
বেগম খালেদা জিয়ার এই মহাপ্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ইতিহাসের এই সাক্ষী হতে পারা আমাদের জন্যও এক আবেগঘন মুহূর্ত।
আল্লাহ হাফেজ, দেশনেত্রী। আল্লাহ হাফেজ, মাদার অফ ডেমোক্রেসি।
