পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত পাঁচটি মামলার সব ক’টিতেই গত মাসে জামিন পেয়েছেন তিনি (Lalu Prasad Yadav)। হাসপাতাল থেকেও ছাড়া পেয়েছেন। তবে বাড়ি ফিরলেও বলতে গেলে শয্যাশায়ী। সেই লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করল সিবিআই।

বিহার এবং দিল্লি মিলিয়ে মোট ১৬ জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে তারা। গতকাল থেকে শুরু হওয়া তল্লাশি আজও চলছে। শুধু লালুপ্রসাদই নন, নয়া মামলায় নাম রয়েছে তাঁর বড় মেয়ে রাজ্যসভার সাংসদ মিসা ভারতীরও (Misa Bharti)।

কী অভিযোগ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের (Lalu Prasad Yadav) বিরুদ্ধে? সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সময় বিহারে একটি চক্র সক্রিয় ছিল যারা মানুষের কাছ থেকে সরকারি প্রকল্পের নামে জমি নিয়েছে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু চাকরি হয়নি। জমিও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে।

জানা যাচ্ছে, লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালে এই চক্র অনেক বেশি সক্রিয় ছিল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লালুপ্রসাদ এবং তাঁর মেয়ের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েই জমি দিয়েছিলেন তাঁরা। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী সিবিআইয়ের কাছে নালিশ ঠোকে। বিজেপির সমর্থনে চলা নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ওই মামলায় তদন্তে সাধারণ সম্মতি বা জেনারেল কনসেন্ট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে গত বছর পঁচিশ লালুপ্রসাদের সঙ্গে আদালত, সিবিআইয়ের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে। বহুবার জেলে গিয়েছেন। এমনকী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াও আটকে গিয়েছে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় যুক্ত থাকার দায়ে। এবার নয়া মামলা কত দূর গড়ায় সেটাই দেখার। তবে সিবিআই এখনও লালুপ্রসাদ (Lalu Prasad Yadav) এবং তাঁর মেয়েকে জেরা করেনি। খবর দ্য ওয়ালের

news