মহম্মদ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য: ভারতীয় দূতাবাস কর্তাকে ডেকে ক্ষোভ জানাল পাকিস্তান, প্রতিবাদ সৌদিরও

 বিজেপির দুই জাতীয় মুখপাত্রের পয়গম্বর সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্যে (Muhammad Controversy) এবার ক্ষোভ প্রকাশ করল পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ রবিবারই ওই মন্তব্যে ভারত সরকারের ভূমিকার নিন্দা করেছেন। সোমবার ইসলামাবাদের বিদেশ মন্ত্রক ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারকে ডেকে বিজেপির দুই মুখপাত্রের পয়গম্বর সম্পর্কে মন্তব্যের নিন্দার পাশাপাশি ভারত সরকারের বিলম্বে বোধোদয় নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রক আজ একটু আগে এই খবর জানিয়েছে।

এদিকে, সৌদি আরবও (Saudi arabia) মহম্মদ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের (Muhammad Controversy) প্রতিবাদ জানিয়েছে। কাতার, কুয়েত, ইরান প্রভৃতি দেশ তাদের দেশে কর্মরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের ডেকে আগেই এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কাতার দাবি করেছে ভারত সরকারকে এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

রবিবার দুপুরে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের দুই জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালকে দল থেকে বহিষ্কার করে। তার আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিবৃতি দিয়ে জানায়, কোনও ধর্মের প্রতি অবমাননা দল সমর্থন করে না এবং যারা এই ধরনের কাজ করে দল তাদের পাশে থাকে না। এর কিছু সময় পর নূপুর এবং জিন্দালকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

 কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইসলামিক দুনিয়া এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। তারা দাবি তুলেছে, শুধু বিজেপি নয়, ভারত সরকারকেই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রকাশ করতে হবে। বস্তুত এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। বেশ কয়েকটি‌‌ দেশ ভারতীয় পণ্য বয়কট‌‌ করা‌‌ শুরু‌ করেছে।

ভারতের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা হিংসা-বিদ্বেষের ঘটনা নতুন নয়। তবে মোদী জমানায় অনেক বেড়ে গিয়েছে বলে দেশের ভেতরেই অভিযোগ উঠেছে বারে বারে। বিরোধীদের বক্তব্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং চাকরি-বাকরি না থাকা ইত্যাদি থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাকে একেবারে উচ্চতম মহল থেকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কিছু মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে সেখানে পুজো করার দাবি তোলা হচ্ছে। মোদি সরকার এই বিতর্ক এতদিন মুখ খোলেনি। বিজেপিও তাদের মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের পয়গম্বর সম্পর্কে টেলিভিশন চ্যানেলে এবং টুইটারে আপত্তিজনক মন্তব্য নিয়ে নীরব ছিল।

বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদীরা নতুন ধরনের দাবি তুলেছে। তাদের বক্তব্য জ্ঞানবাপী ভেতরে যে সমস্ত হিন্দু দেবদেবীর নিদর্শন রয়েছে সেখানে পুজো করতে দিতে হবে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হল, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়টি নিয়ে খুব জোরালো প্রতিবাদ কখনও করেনি। এমনকি নূপুর ও নবীন জিন্দালের মন্তব্য ঘিরে নিন্দার ঝড় বয়ে গেলেও তারা নীরব ছিল।দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে 

news