নোরোভাইরাসের হানা! কেরলে আক্রান্ত দুই শিশু, কতটা ভয়ঙ্কর?

 নোরোভাইরাসের (Norovirus in India) কবলে আক্রান্ত দুই স্কুল পড়ুয়া। কেরলের এক প্রাইমারি স্কুলের দুই ছাত্রীর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের খোঁজ। করোনা ও মাঙ্কিপক্সের দৌরাত্ম্যের মধ্যেই এই ভাইরাস নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেরলের তিরুবন্তপুরমে দুই শিশুর শরীরে মিলেছে নোরোভাইরাসের খোঁজ। তবে দুই জনের অবস্থাই স্থিতিশীল।

এই নোরোভাইরাস আদতে ডাইরিয়ার রোটাভাইরাসের মতোই। দূষিত জল এবং খাদ্য থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহ করা হচ্ছে, স্কুলের মিড মিলের খাবারের থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। স্কুলের অন্যান্য শিশুদের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ চলছে।l

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, স্কুলের মিড মিল খাওয়ার পরেই আটজন ছাত্রীর অসহ্য পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সরকারি ল্যাবে। সেখানেই দুই ছাত্রীর নমুনায় নোরোভাইরাসের হদিশ মিলেছে।

রোটাভাইরাসের মতই এই ভাইরাসের প্রকৃতি। প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত একটি ভাইরাস, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের কারণ। এই ভাইরাস একজন সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, একজন ব্যক্তি বহুবার নোরোভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

দূষিত খাবার, জলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। নোরোভাইরাস প্রথমে যেকোনো মানুষের পাকস্থলীতে আক্রমণ করে এবং পাকস্থলীতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে অন্ত্রের আস্তরণে আঘাত হানে। এর ফলে বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এবং গা হাত পায়ে অনুভব হয়। এর ফলে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়েন। কারণ এই ভাইরাস হানা দিলে শরীর থেকে বিশাল পরিমাণ তরল অংশ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীর জ্বরও আসতে পারে। সাধারণত এই ভাইরাসটি সব বয়সের মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে। তবে শিশু, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুতর হতে পারে।

বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকুন। বিশুদ্ধ জল পান করুন। খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে এই রোগের ফলে মৃত্যু আশঙ্কা তেমন নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।।দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে 

news