৮-১০ বছরের দুই শিশু-সহ এক পরিবারের পাঁচজন ঝুলছে সিলিং থেকে, খুন না আত্মহত্যা!

 একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বিহারের সমস্তিপুরে (Bihar Death)! প্রাথমিক ভাবে অনেকেরই উস্কে উঠেছিল দিল্লির সেই বুরারি-কাণ্ডের স্মৃতি। তবে এই ঘটনার কারণ আর্থিক সমস্যা বলেই প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। যদিও খুন নাকি আত্মহত্যা, তাই নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে এই ঘটনায়। আপাতত দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ, রবিবার সকালে বিহারের সমস্তিপুরের মউ গ্রামের এই ঘটনায় মৃতেরা হলেন, মনোজ ঝাঁ, তাঁর মা সীতাদেবী, স্ত্রী সুন্দরমণি দেবী, দুই সন্তান-– সত্যম কুমার এবং শিবম। তারা ৮-১০ বছরের বাচ্চা ছেলে। মনোজের মেয়েই একমাত্র জীবিত।

জীবিত সেই মেয়ে জানিয়েছেন, বাবা মনোজ পেশায় বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ী। অভাবের সংসার। কোনও রকমে দিন কাটত দৈনিক উপার্জন থেকে। এই অবস্থায় মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে তিন লক্ষ টাকা ধার করেন তিনি। সে টাকা গত তিন মাস ধরে ফেরত দিতে পারছিলেন না মনোজ।

মেয়ের অভিযোগ, যার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মনোজ, সে নানারকম অত্যাচার করত বাবার উপর। মনোজকে মেরে ফেলারও হুমকিও দিত সে। পুলিশের কাছে যাওয়ারও উপায় ছিল না ভয়ে। মনোজের মেয়ের অভিযোগ, ওই ঋণদাতাই বাবাকে ও গোটা পরিবারকে খুন করেছে। পুলিশের একাংশের আন্দাজ, ঋণের দায়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মনোজরা।।দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে 

news