আস্থা ভোটে জয়, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ শিণ্ডের

সোমবার সকালের আস্থা ভোটে জিতে গেলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। সেই সঙ্গে শিব সেনার পরিষদীয় দলের নেতার পদেও বসেছেন তিনি। ফলে সংকট বাড়ল উদ্ধব ঠাকরের। তিনি ও তাঁর অনুগামীরা শিণ্ডেকে ভোট না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ঠাকরের বিরুদ্ধে। ভারতশেঠ গোগাভালেকে দলের মুখ্য সচেতক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব শিবির। মোট ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই সরকার গড়েছেন তিনি।

২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Floor Test) শিন্ডের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৯৯ জন। তিন বিধায়ক ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি। সোমবার আস্থা ভোটের আগে অন্তত তিনজন বিধায়ক উদ্ধব শিবির থেকে বেরিয়ে এসে শিণ্ডের সঙ্গে যোগ দেন। রবিবারই বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচনেও হেরে গিয়েছিল উদ্ধব শিবির। নতুন স্পিকার রাহুল নরবেকর পরিষদীয় নেতা হিসাবে শিণ্ডের নাম ঘোষণা করে দেন। সেই সঙ্গে দলের মুখ্য সচেতক পদে নিযুক্ত হন গোগাভালে। এই দু’টি পদেই আসীন ছিলেন উদ্ধব শিবিরের দুই নেতা। তাঁদের সরিয়ে দেওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।

শিব সেনার নিয়ন্ত্রণ এবার উদ্ধবের (Uddhav Thackeary) হাত থেকে বেরিয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁর পক্ষে মাত্র ১৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। একনাথ শিণ্ডে-সহ বিক্ষুব্ধদের বিধায়কপদ খারিজের আরজি জানিয়েছিলেন উদ্ধব। কিন্তু নতুন স্পিকার নরবেকর সেই দাবি খারিজ করে দেবেন বলেই অনুমান। শুধু তাই নয়, নতুন স্পিকারের কাছে শিণ্ডে দাবি করতে পারেন তাঁর শিবিরই আসল শিব সেনা। কারণ শিণ্ডের হাতে এখন শিব সেনার দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন আছে। সেক্ষেত্রে উদ্ধবকে তাঁর নিজের দল থেকেও বহিষ্কৃত করা হতে পারে।

জল্পনা বাড়িয়ে ভোটে অনুপস্থিত ছিলেন তিন কংগ্রেস বিধায়ক। ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বিধানসভায় ঢোকেন দুই কংগ্রেস বিধায়ক। শিণ্ডের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বিপাকে পড়েছেন আদিত্য ঠাকরে। দলের মুখ্য সচেতকের বিরোধিতা করার জন্য এবার শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাঁকে। সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news