হিন্দু আবেগে আঘাত দিয়ে গরু কুরবানি না করার আহ্বান জানাল আসাম জমিয়তে উলামা

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের আসাম শাখার পক্ষ থেকে হিন্দু আবেগে আঘাত দিয়ে আসন্ন ঈদুল আযহায় গরু কুরবানি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

আসাম রাজ্য জমিয়তে উলামার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশু কুরবানি দিলে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মীয় কর্তব্য পালন করা হয়। কিন্তু কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে যাতে আঘাত না লাগে সেটাই করা উচিত। অর্থাৎ, মুসলিমদের ধর্মীয় কর্তব্যের পাশাপাশি হিন্দুদের ভাবাবেগ, এই দুই কুল রেখেই কুরবানির ঈদ, ঈদুল আযহা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন, রাজ্য জমিয়তের সভাপতি মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল।  

গত বছর বিজেপিশাসিত আসাম রাজ্য সরকার গো-সুরক্ষা আইন পাস করেছে। এতে বলা হয়েছে, মন্দির, নামঘরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো-হত্যা এবং গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ। 

রাজ্য জমিয়তে উলামা প্রধান মাওলানা বদরউদ্দিন আজমলের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত বিভিন্ন জাতি, জনগোষ্ঠী-ধর্মাবলম্বীদের দেশ। এ দেশের অধিকাংশ মানুষই সনাতন ধর্মের। এই ধর্মে গরু পূজনীয়। দেশের সংখ্যাগুরুরা গরুকে মায়ের মতো মনে করেন। তাই তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগের প্রতি সম্মান জানিয়েই গরুর পরিবর্তে অন্য পশু কুরবানির পোষকতা করছে জমিয়ত। জমিয়তের মতে অন্য কোনও পশু কুরবানি করেও মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় বিধান রক্ষা করতে পারেন, এবং তাতে কারও অনুভুতিও আহত হয় না। এই দুটো বিষয় মাথায় রেখেই মুসলিমদের উদ্দেশ্যে কুরবানির ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়েছে জমিয়তে উলামা অসম। 

অন্যদিকে, ঈদে গরু কুরবানি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, আইনে কী আছে দেখে নিন। 
এদিকে, আসাম রাজ্য জমিয়তে উলামা হিন্দ প্রধান মাওলানা বদরউদ্দিন আজমলের আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তার আবেদনকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিনোদ বনসাল বলেছেন, মুসলিম নেতাদের উচিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে স্থায়ীভাবে গরু হত্যা বন্ধ করার আবেদন জানানো। 

news