ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া দশটায় শপথ নিয়েছেন আদিবাসী নারী দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা তাকে রাষ্ট্রপতির শপথ পড়ান।  ভারতীয় পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে এই শপথ অনুষ্ঠিত হয় এবং এর মধ্য এই প্রথম কোনো আদিবাসী নারীকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেল। এনডিটিভি 

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ, বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট এম ভেনকাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এছাড়া মুর্মুর নিজ রাজ্য উড়িষ্যার মূখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক, লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা এবং বিভিন্ন দলের পার্লামেন্ট সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 

শপথ গ্রহণের পর পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘আমার নির্বাচন প্রমাণ করে যে দেশের দরিদ্ররা স্বপ্ন দেখতে পারে এবং পূরণও করতে পারে।’

তিনি বলেছিলেন যে প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়া তার জন্য একটি স্বপ্ন ছিল এবং তিনি যোগ করেন যে প্রান্তিকদের কল্যাণে মনোনিবেশ করবেন তিনি।

দেশের তরুণদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, তারা নিজেদের গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের ভিত্তি তৈরি করুন। তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

দিনের শুরু মুর্মু রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান। এরপর তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মুর্মুর বর্তমান বয়স ৬৪ বছর। 

১৯৫৮ সালের ২০ জুন উড়িষ্যার একটি আদিবাসী পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর। এরপর রমা দেবী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি। চাকরিজীবন শুরু উড়িষ্যার সচিবালয় থেকে। তবে পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ১৯৯৭ সালে। ওই বছরই পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।  

এর তিন বছর পর রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত হন উড়িষ্যার ময়ূরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা দ্রৌপদী মুর্মু। রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দুই দফায় বিজেপির বিধায়ক হয়েছেন তিনি।  

২০০৭ সালে উড়িষ্যা বিধানসভায় সেরা বিধায়ক হিসেবে ‘নীলকান্ত’ পুরস্কার জেতেন দ্রৌপদী। ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ময়ূরগঞ্জের বিজেপি জেলা সভাপতি ছিলেন।

news